Friday, February 15, 2013

আমি, মদ এবং তারাপদ বাবু

বিগত কয়েক সপ্তাহ আমার একটু মন খারাপ যাচ্ছে, কারণ টা ঠিক জানিনা তবে আমি যা বুঝছি তাতে আমার সময়ানুবর্তিতাই এর জন্য দায়ী।  যা হোক, তারাপদ বাবুকে নিয়ে আমার হ্যাংলামোর কথা আশাকরি আপনারা অবহিত আছেন। তা ওনার একটা প্রিয় বিষয় ছিল মদ এবং তদুপরি মাতাল। মাতাল নিয়ে না হলেও ইনি খান ৫০ রম্যরচনা লিখেছেন(গোনাগুনতিতে কিছু ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন)। গতকাল রাতে পড়তে পড়তে আমার কিছু নিজের কথা মনে পড়ে গেল, ওনাদের সময় শিব্রাম ছিলেন, কৃত্তিবাস ছিল, আরো অনেক খ্যাতনামা জ্ঞানীগুনী লোক ছিলেন যারা নতুনদের সাহায্য করতেন, আজকাল সব নিজেকেই করতে হয়, করছি। তারাপদ বাবু এক জায়গায় বলেছেন, উনি মদ খেতে ততটা ভালো না বাসলেও মদ নিয়ে লিখতে খুব ই ভালোবাসতেন। ওনার লেখা একটা গল্প দিয়েই গুরুদক্ষিণার কাজটা সেরে রাখছি আগে, দুই বন্ধু খুব মদ খায় এবং প্রায়ই একসাথে খায়, তো এরকম একদিন অনেকটা মদ খাওয়ার পর এক বন্ধু আরেকজন কে বলল, "এই তুই আর মদ খাসনা তোর নেশা হয়ে গেছে" । দ্বিতীয় বন্ধু যথেষ্ট ভরসা রেখে জিজ্ঞাসা করল, "কি করে বুঝলি?" প্রথবন্ধু,"আরে, তোকে ঝাপসা দেখাচ্ছে।"
এবার আমার গল্প বলি, আমি প্রথম মদ খাই বুঝলেন ক্লাস ইলেভেনের শেষের দিকে। ইচ্ছা খুব একটা ছিল তা নয়, এবং সে সময় আমি মদ খেলে চরিত্রদুষ্ট হবার আশঙ্কা করতাম, কিন্তু সেদিন ঢেঁকুর ওঠার পর বুঝলাম সে আশঙ্কা আমার হজম হয়ে গেছে। এরপর এলোপাথারি, দাঁড়িয়ে বসে, মিশিয়ে না মিশিয়ে, বমি করে না করে সবরকম ভাবেই আমি অনেক মদ খেয়েছি আজ দশ বছর হল, একটি মেয়ে ছাড়া কেউ আমাকে মাতাল হতে দেখেনি, আবার সবার মধ্যে সেই একমাত্র আমার মদমত্ততা অনুভব করেছে। যাইহোক সবই কপালের ফের, আর একটা কথা এতক্ষন বাজে লিখে এসে বুঝতে পারলাম আমার মদ নিয়ে কোন হাসির গল্প নেই। তবু তারাপদ বাবু শিখিয়েছেন 'যেখানে দেখিবে পাতা/ লিখিবে পারিবে যা-তা/ পাইলেও পাইতে পারে হাসির উদ্রেক।'
একবার আমরা চার বন্ধু মিলে মদ খেতে যাচ্ছি, উদ্দেশ্য হাজরার একটি সুলভ বার। যেতে যেতে বেশ সময় গেছে একটু দেরীও হয়েছে, আমরা বলছি, আর ক'ত দেরী হবে ইত্যাদি ইতিমধ্যে হাজরা চলে এসেছে এবং বন্ধুটি সোল্লাসে বলে ওঠে, "এই ত্তো আমরা ঠিক জায়গায় চলে এসেছি।" বক্তব্যের ধরনে মনে হয় যেন ঐ জায়গাটা ছাড়া বাকী সব জায়গা ই ভুল।  এরপর আরেকটু বাকী, বয়সের ধর্মে আমরা সকলেই প্রায় এটা বোঝানোর চেষ্টা করি আমরা নেশাগ্রস্ত হইনা বা মাতাল হইনা। অবশ্য মাতাল আর নেশাগ্রস্ততা এক নয়। যাক, তো সেই বন্ধুটির ই এরকম অহঙ্কারের মাত্রাটা একটু বেশী, ওর হিসাবে ও ছাড়া আর বাকী সবাই এলেবেলে যে কোন পৌরষেয় কাজে(কার্জত সেটা ঠিক নয় সাধারন জনমত অনুযায়ী)। তো সেদিন আমাদের মদ্যপানের মাত্রাটা কিঞ্চিৎ বেশী হয়েছিল, সে সময় আমাদের উত্তেজনার মাত্রাটা বেশ চড়া, সবার ই ইচ্ছা সে সময় গঙ্গার জল মদ হয়ে যাক আর পাঁটা(আমার জন্য মুরগী উটপাখির সাইজের) হাতির সাইজের হয়ে যাক, কিন্তু তবু আমাদের বেরোতে হবে বিল হয়ে গেছে ওকে বললাম উঠতে, বলল দাড়া উঠছি। একটু পর আমরা নীচে নামলাম, সবাই সিগারেট ধরাচ্ছে, ও দেখি একজায়গায় বসে পড়ল, গিয়ে বলা হল, 'চল বাড়ি যাব', বলল, 'দাঁড়া একটু রেস্ট নিয়ে যাচ্ছি'।
আজকাল আর মদ খাবার বিশেষ উৎসাহ পাইনা, যতটা না মদের প্রতি অনাগ্রহ তার থেকে বেশী হল উপযুক্ত মদ্যপায়ীর অভাব। এখন আমার বিশেষ বিশেষ মদের অতিসুন্দর সুন্দর বোতল জমানোর প্রতি আগ্রহ বেশী, পয়সার অভাবে এখনও তেমন কালেকশন হয়ে ওঠেনি, সেটা অন্য ব্যাপার।


Thursday, January 31, 2013

পাকে-চক্রে

কিছু করার নেই আমি বাধ্য এটা বাংলায় লিখতে, এমনিতেও  ইংরাজী তে লিখে যে একেবারে খুব দারুন হচ্ছে, লোকে একেবারে হামলে পড়ছে এমন তো নয়। যাক, যে প্রধান কারণে এই ব্লগের উৎপত্তি তা হল শ্রদ্ধেয় স্বর্গত শ্রী তারাপদ রায়, মানে উনি প্রায়ই বলতেন উনি নিতান্তই টুকে লেখেন বিদেশি জোক্স থেকে আর আমার এই অনুপ্রাণিত হওয়া তে উনি নিশ্চিত হতেন যে অনার রচনা গুণ এবং পাঠককুল সম্বন্ধে। না না দোষ আমার ই, কান্ডজ্ঞান লোপ পেলে আর বোধবুদ্ধি না থাকলে যা হয় আরকি।

লিখতে লিখতে যখন ব্লগের ব্যাপারটা আসে তখন পরিবর্তন এর বাজার এমনি কিছু লিখে ফেললাম তারপর একটু ব্যক্তিগত কারণে কিছুদিন আতাকেলানে(এর থেকে ভাল তিরষ্কার মূলক কথা আমার তৎকালীন সময় নিয়ে দেওয়া যায়না)  হয়েছিলাম ফলে বছর খানেক লেখা হয়নি। আজ আসলে অন্য একটা লেখা দেখে তারাপদ বাবুর একটা লেখা মনে পড়ে গেল তাই এই বাজে বকা এবং স্মৃতিচারণ।

একদা দুই বন্ধু একযোগে মদ্যপান করতেন, কিন্তু সময়ের চক্করে তাদের মধ্যে একটা ছাড়াছাড়ি হয়। তো  থেকে যাওয়া বন্ধুটি রোজ পানশালায় যেতেন এবং যতবার মদ বলতেন দু পেগ করে অর্ডার করতেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন দ্বিতীয় পেগটি বন্ধুর উদ্দেশ্যে। একদিন তিনি এসে বললেন,"এক পেগ হুইস্কি দাও, আজ থেকে আমি মদ ছেড়ে দিয়েছি, ডাক্তারের বারণ।" এতদিনের পরিচিতি হেতু বেয়ারা জিজ্ঞাসা করেই ফেলল, "তবে আপনি খাচ্ছেন যে?" ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, "এটা আমার বন্ধু খাচ্ছে, ওর তো ডাক্তারের বারণ নেই।"
আজ প্রায় একই গল্প দেখলাম সামান্য পরিবর্তিত, 'সর্দারজির দোস্ত থাকে ইংল্যান্ডে। কেপটাউনে বসে তাঁর কথা মনে হওয়ায় একদিন রেস্তোরাঁয় খেতে এলেন। দুই প্লেট মিষ্টি নিয়ে বসলেন টেবিলে। এক পাশে বসে টপাটপ কয়েকটা মিষ্টি খেয়ে একটু পর চলে যান আরেক পাশে। সেখানে বসে কয়েকটি গিলে ফের চলে আসেন আগের জায়গায়।
সর্দারজির এমন কাজ-কারবার দেখে রেস্তোরাঁর বেয়ারারা ভীষণ অবাক। দুই প্লেট মিষ্টি গিলবে তো একপাশে বসেই খাও না কেন? এপাশ-ওপাশ করার দরকার কী! বলল কেউ কেউ। সর্দারজি একটা মিষ্টি গিলে বললেন, আমার বন্ধু তো কাছে নেই। তাই ওর হয়ে ওপাশের মিষ্টিগুলো খেয়ে নিচ্ছি!
এমন করেই চলল কিছুদিন। হঠাৎ একদিন নিয়মের ব্যতিক্রম। টেবিলের এক পাশে এক প্লেট মিষ্টি নিয়ে বসলেন সর্দারজি। ঘটনা কী? জানতে চাইল কেউ কেউ। ঘটনা আর কিছু না। গতকালই ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে আমার। ডাক্তারের কড়া নিষেধ_ মিষ্টি থেকে একশ হাত দূরে থাকতে। কিন্তু আমার দোস্তের তো ডায়াবেটিস নেই। তাই নিয়মানুযায়ী ওর হয়েই এক প্লেট মিষ্টি খেয়ে নিচ্ছি! সর্দারজির নির্লিপ্ত জবাব।'

বুঝতেই পারছি প্রত্যেকে(যদি কেউ পড়েন) একটা উপসংহার প্রত্যাশা করছেন, কথার মানে হল আমি বুঝলাম টুকলিফাইন জিনিস টা আদি থেকে চলে আসছে, "টোকাই ধর্ম, টোকাই কর্ম, টোকাতে নেই কোন পাপ/ টুকেছে আমার ঠাকুরদাদা, টুকেছে আমার বাপ।"

*পুনশ্চঃ নামকরণের তাৎপর্য এই যে, গল্পটা এবং আমার জীবনে তারাপদ বাবু ঘুরে ফিরে আছেন ই। তাঁর শ্রী চরণে(ফটো) স্বশ্রদ্ধ প্রণাম।

Tuesday, January 29, 2013

wow!!!!!!!!

It is unbelievable to me, I just can't imagine that there are 24 views on my page in last few hours and 21 of them are from Russia!!!!!!! I usually check my blog's view count and for last few days I found there are more viewer from USA or Russia or other foreign country but less viewer from my own India. Its meaning that our country is lacking any kind of reading habit day by day. Anyway I just don't want to interfere any critical topic today cause today I have a fantastic mood.
Yes I am exited about the response of my blog but I can't get what they actually feel about my writing and are they really read them or just they come and visit occasionally or its just like programmed by Google!
Whatever the the answer may be I will write, more and more. 

Friday, January 18, 2013

thinking

I hope you all understand that I rejoin my blog with some new ideas and due to Google page view facility I found a lot of people who at least give a look at my blog. Now as I told previous that I was about to start writing, but due to some obstacle which I can't figure out (must be my laziness) I could not. After my new joining and two more blogs, I started to think what will be the topic of my next blog because in last three years my style of thinking has changed a bit. When I go through the blog I found that every piece of my writing was about some daily slapstick humor about our middle class Bengali people, some were about the irony or sarcasm on politics (for that time particularly) and rest of it were about my own. Now onwards I try to write something on some particular topic like humor (as I always tried to people smile by my writing) or I should write as blog writers do. Anyways  I think that it will take some times to judge my flow and your choice also if you are actually bother to show some kindness to me. There is an other idea to me, that is to follow my mentor স্বর্গীয় শ্রী তারাপদ রায় (Late Mr. Tarapodo Roy).
Now this is too late for me also its near about morning and i have to sleep, so i will introduce you with my mentor in next time.

Tuesday, January 15, 2013

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

ভাবলেই গা টা কেমন শিরশির করে উঠছে আমি প্রায় ৩ বছর কিছু লিখিনি অবশ্য তাত্ত্বিক দিক দিয়ে দেখলে আমি আগে নিতান্তই বাজে চটুল এবং ফাজিল লেখা লিখতাম বিশেষ কেউ পড়ত না বলে রক্ষে, তবে এখন যে ভাল লিখব বা লিখলেই একেবারে সক্কলে গোগ্রাসে গিলবে এমন নয়।
যাক এখন যেটা মোদ্দা কথা সেটা হল আমি তো ছাতার বুঝতেই পারছিনা কেউ পড়ছে কি্না,  পড়লে কি কেমন লাগছে, বা আদৌ পুরোটা পড়ছে কিনা এবং আরো গুরুতর ব্যাপার হল, এই যে আমি লিখলাম আমার বর্তমান সমস্যার কথা সেটা কি কোনভাবে  রস বজায় রেখে ইংরেজীতে লেখা যায়? সম্ভব?
এটার উত্তর ও কেউ না দিলে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থাকব।

dukhito...(sorry)

দুঃখিত! আমি সত্যিই দুঃখিত! কারণ নিজের অবহেলাতেই এতদিন ব্লগটা অব্যবহৃত পড়েছিল। মাঝখানে যে একদম মনে পড়েনি তা নয় তবু লেখা হয়ে ওঠেনি। ব্যক্তিগত কারনগুলো নিয়ে যথা সময়ে আলোচনা করব।
এখন মুশকিল হচ্ছে এতদিন পর এসে নিজের পুরোন গন্ধ টা ফিরে পাওয়া (এখন জানি এসব হয়ত একান্তই আমার নিজস্ব ভাবনা, বিশেষ কেউ যে আমার লেখা পড়ে এমন কোন সঙ্কেত আমি পাইনি।) পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমার নিজের কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেটা জানিনা তবে দু'বছর পুরোন রসে কেমন নেশা ধরবে কে জানে? আর নতুন সমস্যা হচ্ছে, এই ভাষা, বাংলায় লিখলে ক'জন পড়ে আমি জানিনা আর এই ফন্ট সবার কাছে নাও থাকতে পারে। তাই হয় আমি দুরকম ভাষাতেই লিখব নয়ত শুধু বিলিতি ভাষায় (এই এক বছরে বিশেষ কিছু হয়নি তবে দু-একটা সফটওয়ার পেয়েছি যা দিয়ে ইংরেজি টা লেখা যায় মোটামুটি) ।
Sorry! I'm really sorry! After all, it's my fault or negligence, that's why the blog was remained unused. Several times I thought to revive it, but somehow it didn't happen, again the causes was some of my personal problem and we will discuss on those stories later. Definitely. 


Now the problem is to regain the flavor I left behind two years ago, and as you know, there is a lot of 'change' happened in my place, kolkata (west Bengal). There are some problems too, like; I noticed that there are just a few countable reader or my own circle who tried to have a look over my blog, but it is really difficult to read Bengali in Roman language and if I write it in a Bengali front it would remain the same problem those who don't have the Bengali font and mostly most of the blog visitors are not Bengali (I'm sorry again, I wish I could write the whole in my language). So next, onward I will try to write the same piece in two languages and if sometimes I failed, then please consider me my Bengali friends it will be in English.


কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...