Tuesday, May 21, 2019

রূপ দেখতে তরাস লাগে ২


)নীলকমল ত্রাতা
ক্রমে ক্রমে আঠারো মাস কেটে গেল, রাজার ছেলেদের অন্নপ্রাশনের সময় উপস্থিত রাজা এই দুবছরে বুড়িয়েছেন ঢের, রাজা নরকে যাবেন না কিন্তু তিনি সন্ত্রস্ত সব সময় রাজ্যে সুখ ছিলনা, সুখ এল কিন্তু শান্তি চলে গেল
অন্নপ্রাশনের দিন সকাল বেলা রাজদ্বারে, চার মূর্তিমান কে দেখা গেল, এক বুড়ো তার তিন স্যাঙ্গাত, চারজনেই কালো, চারজনই বিশালদেহী, চারজনকে দেখলেই ভয় লাগে রাজদরবারে এসে বৃদ্ধ হাসিমুখে রাজাকে অভিবাদন জানিয়ে বললেন, তিনি ছোটরানীর বাবা, এরা তিন জন- দুর্ধর্ষ, বিকট আর অতিকায়, রাজার শ্বশুরের খাস লোক রাজার শ্বশুরের নাম ক্রূরবুদ্ধি, -তো তারা থেকে গেল রাজ অতিথি হিসাবে রাজার রগের একগোছা চুল গোড়া থেকে পেকে উঠল
ছেলেদের অন্নপ্রাশন হয়ে গেল, রাজা দেখলেন তার শ্বশুর ঘুরে ঘুরে রাজ্য দেখে, রাজ্যে ছোট খাটো অভাব অভিযোগ বাড়তে লাগল রাজা ভাবেন প্রতিকার করবেন কিন্তু তিন মুর্তিমান যমদূত আর ছোট রানীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে পারেন না রাজা দেখেন প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তিত, সেনাপতি সেনা বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ব্যবসায়ীরা মুখে বলতে পারছেন না কিন্তু রাজার শ্বশুরের তিন দানবের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ, কৃতজ্ঞতা বশে তারা পড়ে আছেন এই রাজ্যে
একদিন রাতে রাজার ঘুম গেল ছুটে ছাদে হাসনুহানা ফুটেছে, রাজা গেলেন, যদি মন ভালো হয় তাতে শুকলেন গন্ধ, তবু গেলনা ধন্দ দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রশ্ন করলেন রাজা অন্ধকারে, কে বাঁচাবে আমায়? অস্ফুটে রাজা শুনলেন নাম- নীলকমল! কে? কে করে তামাশা? রাজার ভয়ার্ত জিজ্ঞাসা রাজা ছাড়া কেউ নেই ছাদে নীচে নেমে এলেন রাজা, মনে পড়ল নীলকমলের মুখ, গভীর উজ্জ্বল চোখ, লালকমলের মত কৌতূহলী, উচ্ছাসপ্রিয় নয় নীলকমলের চলন বলন শান্ত, লালকমলের সাথে তার খুব ভাব নীলকমল লালকমলের চেয়ে ২ঘন্টার ছোট, তবু যেন নীলকমলই বড় রাজার ঘুম চলে এল
পরদিন রাজা লুকিয়ে দেখতে থাকেন নীলকমলকে, কি যেন এক অব্যক্ত ভাব আছে ছেলেটার মধ্যে, লালকমল ছাড়া আর কারো সাথে তেমন কথা বলেনা সে রাজা দেখেন বছরের নীলকমল অস্ত্রাগারে ঢুকল রাজা লুকিয়ে দেখতে থাকেন
নীলকমলকে আসতে দেখে রাজ অস্ত্রগুরু বললেন, আবার এসেছ বালক? বলেছিনা এখনও উপযুক্ত হওনি তুমি মাথা নীচু করে নীলকমল জবাব দেয়, 'আজ পারব আমি' কি জেদ! রাজগুরু মনে মনে প্রশংসা করলেও, মুখে রাজপুত্রের অহংকারের তিরষ্কার করেন নীলকমল বছরের জেদি হাতে একটা পূর্ন দৈর্ঘ্যের তলোয়ার ওঠানোর চেষ্টা করছে রাজার ইচ্ছা হল তিনি গিয়ে গুরুদেবকে বলেন পরীক্ষা নমনীয় করতে, কিন্তু দেখতে থাকলেন রাজগুরু হেসে বললেন, সময় হয়নি এখনও বালক... কথা শেষ হওয়ার আগে বালক নীলকমল তলোয়ার তুলে দাঁড়ালো রাজগুরুর সামনে, বলল, আপনি অস্ত্রশিক্ষা দেবেন আমায়? শেষ করতে পারলো না তলোয়ারের ভারে, জ্ঞান হারালো নীলকমল
রাজার সুপারিশ করতে হয়নি, রাজগুরু নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিলেন সেই অসীম সাহসী রাজপুত্রের অস্ত্রশিক্ষার দুই ভাই চরম আগ্রহে অস্ত্রশিক্ষা গ্রহণ করতে লাগল রাজা মাঝে মাঝে খবর নেন, লালকমল নিয়মমত শেখে, নীলকমল সব শিখে তার মতন প্রয়োগ করতে চায় লালকমল বছরে চার আঙ্গুল বাড়ে, নীলকমল বাড়ে আট আঙ্গুল লালকমলের বাড়ে আভিজাত্যের প্রকাশ, নীলকমল বাড়ে কঠিন, ঋজু, কঠোর, তার হাতে পায়ে, ঘাড়ের পেশীতে দুর্বারের ক্রমবিকাশ রাজগুরু একদিন রাজার কাছে আসেন, ততদিনে লাল, নীল দুই ভাই বারো বছর উত্তীর্ণ করে তেরোয় পা দিয়েছে রাজা দুই ভাইয়ের শিক্ষার খবর নিলেন, লালকমল দ্বৈরথে ধুরন্ধর হয়ে উঠেছে, কিন্তু নীলকমল.... রাজা অধীরে জিজ্ঞাসা করেন, নীলকমল কি? রাজগুরু উত্তর, 'সম্ভবত নীলকমল অপ্রতিরোধ্য'
রাজসভায় বসে থাকা ক্রুরবুদ্ধি সব শুনে বলেন, 'তাহলে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হোক, দেখুক সকলে রাজকুমারদের অস্ত্রকৌশল, ক্রীড়া দ্বৈরথ হোক' তিন দানব নিজেদের মধ্যে চোখ চাওয়া চাওয়ি করে নেয় রাজগুরু শুধান, কিন্তু প্রতিযোগী কই? রাজার শ্বশুর হেসে বলে, 'মহারাজ চাইলে, সে ব্যবস্থা আমি করে দেব' 
ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়, অমুক দিনে, তমুক নির্ঘন্টে রাজকুমারদের অস্ত্রশিক্ষা প্রদর্শনী হবে এবং তারা ক্রীড়া দ্বৈরথে অংশ নেবেন
সেদিন রাতে নীলকমল তার মাতামহের ডাকে তার ঘরে গেল নীলকমল গত সাত বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে, তার চাহুনি, শরীরের ভাষা এখন অন্যরকম, সে কোন কারণে তার মাতামহ এবং তার এই অনুচরদের সহ্য করতে পারেনা নীলকমলকে দেখে দুর্ধর্ষ বলে উঠল, 'বাঃ নাতি আপনার জোয়ান হয়ে উঠেছে তো, খামোকা দুধের ছোড়ার সাথে মিশছে আজ্ঞা করেন তো দলে ভিড়িয়ে নি, পরে তো ওকেই দেখভাল করতে হবে' ক্রুরবুদ্ধি কোন উত্তর না দেওয়ায়, অতিকায় বিরক্ত হয়ে বলল, 'আপনি এখনও দেখে শুনে যাচ্ছেন? এই তো রাজার ছিরি, আর কে রুখবে আমাদের, আমার আর এখানে থাকতে ইচ্ছা করছে না, বলুন আজ রাতেই নিকেশ করি সব?' ক্রুরবুদ্ধি হাত তুলে থামিয়ে বললেন, 'সব কিছুরই সময় আছে, আর হাতে গোনা 'দিন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা টা হয়ে যাক' নীলকমল দাঁত চেপে, চোয়াল শক্ত করে শুনে যায় কথা গুলো ছোটরানী নীলকমলের মাথা চুমে বলেন, 'এই সিংহাসনে তুই বসলে তবে আমার আনন্দ, ওই সতীনের পুত তোর পথের কাঁটা, পারবিনা সরিয়ে দিতে?' নীলকমলের হাতে তার প্রিয় ছুরিটা ঝলকে উঠতে চাইছিল, ভিতর থেকে কিরকম একটা ডাক ছেড়ে এদের সবাইকে থামিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল নীলকমলের ক্রুরবুদ্ধি বললেন, 'তোমায় প্রতিযোগিতার দিন কি করতে হবে শোনো' নীলকমল আর দাঁড়িয়ে থাকলে কি করে ফেলবে নিজেও জানেনা, মাথার শিরায় শিরায় যেন আগুন ছুটছে, বড়মার কাছে যেতে হবে এক্ষুনি, সেখানেই একটু শান্তি পায় নীলকমল আগুন চোখে মাতামহকে উত্তর দিল, 'আমি জানি কি করতে হবে' ক্ষিপ্র বেগে বেরিয়ে চলে গেল নীলকমল ক্রুরবুদ্ধির কপালে ছোট্ট ভাঁজ পড়ল
প্রতিযোগিতার দিন লালকমলের পড়নে নীলাভ পাড়ের শুভ্র বস্ত্র আর নীলকমল পড়েছে লাল পাড়ের কৃষ্ণ বস্ত্র দুজনে দুজনের অস্ত্র শিক্ষার নানা কৌশল দেখিয়ে মনোরঞ্জন করল রাজকুমারদের কেরামতি দেখবে বলে রাজ্যের লোক উপচে এসেছে এবার ক্রুরবুদ্ধি সেই ক্ষণের ঘোষণা করলেন, লালকমলের সাথে প্রতিযোগিতায় নামছে কুদর্শন নামে ক্রুরবুদ্ধির ছোটরানীর দেশের এক বীর, এর বীরত্বের ইতিহাস হল, একবার খালি হাতে দুখানা হিংস্র বাঘ মেরেছিল কুদর্শন লালকমলের চেয়ে আকারে আয়তনে বেশ বড়, লালকমল যুদ্ধ জানে কিন্তু কুদর্শন খালি তেড়ে এসে বুনো ষাঁড়ের মত ধাক্কা মারতে চায়, তরোয়ালের প্রক্ষেপ অনির্দিষ্ট, ক্রীড়ার মর্যাদা রক্ষা করতে অপারগ কুদর্শন লালকমল বিরক্ত, কুদর্শনের উদ্দেশ্য আক্রমণের, লালকমল প্রতিরোধ করে যাচ্ছে সরে সরে রাজগুরু বলতে চায়, নিয়মের লঙ্ঘন হচ্ছে কিন্তু তাকে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা এদিকে কুদর্শন ক্রমাগত বিফল হচ্ছে আর ততোধিক গর্জনের সাথে তেড়ে তেড়ে আসছে লালকমল আবার একবার একটা বেপরোয়া চাল ঠেকিয়ে সরে দাঁড়ালো লালকমল গুরুকে দেখতে পেলনা, রাজা অসহায় ভাবে মাথা নীচু করে আছে, সে নীলকমলের দিকে তাকালো, দূর থেকে নির্দেশ এলো আঘাত হানার লালকমল অস্ত্রচালনা শিখেছে কিন্তু বেনিয়মের লড়াই শেখেনি দূরে দেখল কুদর্শন আবার উন্মত্ত রোষে ধেয়ে আসছে, লালকমল ভাবে অনেকক্ষন ধরে এই মারণ খেলা চলছে কিন্তু তবু এই দানবের দমের কোনো খামতি নেই লালকমল দেখল কুদর্শন দশ পা দুর থেকে বুকের রক্ষণ খুলে তার বিসদৃশ খড়্গ উন্মুক্ত করে নিল লালকমল সোজা হয়ে প্রতিরক্ষা করতে চাইলে ওর ভরবেগ সামলাতে পারবে না, সে সামান্য তেরছা হয়ে দাঁড়ালো, চোখের সোজা সরলরেখায় দেখল নীলকমল নীচু হয়ে অদৃশ্য তরবারি চালালো প্রতিপক্ষের পা লক্ষ্য করে পাঁচ পদক্ষেপের দূরে কুদর্শন, ঠিক তখনই যেন লালকমলের মাথায় বিদ্যুৎ চমকের মত খেলে যায় কিছু, চোখের ঠাহর হতেই দেখে কুদর্শনের তরবারি একহাত ব্যবধানে লালকমল লতানো গাছের মত হাঁটুর ভর আলগা করে দিল এবং মুহূর্তের ভগ্নাংশে ধারালো তরবারি ১৮০ কলায় ছুঁড়ে দিল কুদর্শন একটা হোঁচট খেয়ে গোড়ালির শিরায় ধারালো আঘাতে ছিটকে পড়ল মাটিতে লালকমল চোখ বন্ধ করেছিল বেশ কিছুক্ষণ, আবার ঘোষণার আওয়াজে সে বুঝল কুদর্শন পরাজিত লালকমল বুঝল চাপ রক্তের ছাপে কুদর্শন আর উঠতে পারেনি, দূরে নীলকমলের মুখে যেন হালকা হাসি স্পষ্ট
এরপর লালকমলের সাথে লড়তে এল অতিকায় যেমন নাম তেমনি চেহারা লালকমলকে অতিকায় এর সামনে, পর্বতের সামনে মুশিকের মত লাগছিল অতিকায় এর দুহাতে ভীষণ দুই তরবারি, সে দৌঁড়ায় না অতিকায় বিস্তীর্ন পদক্ষেপে লালকমলের সামনে চলে এল, মুখে যেন অদ্ভুত দানবীয় হাসি লালকমল ওর উদ্দেশ্য বুঝতে পারছেনা, তার তরোয়ালের ভার এবং ধার দুইই অতিকায়ের কাছে নগণ্য, তবুও লালকমল দক্ষিণাবর্তী হয়ে তরোয়াল চালালো অতিকায়ের অধোবক্ষ লক্ষ্য করে অক্লেশে অতিকায় সেই প্রক্ষেপকে প্রতিহত করল বিনা পরিশ্রমে আর তৎক্ষণাৎ ধেয়ে এল তার বাঁ হাতের তরোয়াল বিপুল বেগে লালকমল পাঁচ হাত ছিটকে গেল ঢাল শুদ্ধ সেই মার ঠেকিয়ে এই রকম চলল খানিক, লালকমল বুঝছে অতিকায় তাকে খেলিয়ে মারতে চাইছে অথচ তার নামে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ উঠবে না লালকমল ছেড়ে যেতে পারে কিন্তু তাতে তার গুরুর, পিতার অমর্যাদা হবে লালকমল কাহিল হয়ে পড়েছে, অতিকায় তরোয়ালের হাতল দিয়ে লালকমলের কপালে আঘাত করে, লালকমল কপালে হাত দিয়ে বসে পড়ে, দরদর করে রক্ত পড়ছে অতিকায় হাত তুলে উল্লাস করছে আর একটা বা দুটো আঘাত হয়ত লালকমল সহ্য করতে পারবে অতিকায় অনির্দিষ্ট ভাবে পিছন থেকে একটা বাঁক নিয়ে তরোয়াল চালায় লালকমলকে লক্ষ্য করে, লালকমল ঢাল তুলে ঠেকাতে চাইলেও বাধা দেওয়ার মত জোর আর তার নেই নিষ্ঠুর হাসি মাখা অতিকায়ের চোখ, গোটা প্রাঙ্গণ নিস্তব্ধ মুহূর্তের ব্যবধানে এক ধাতব শব্দে সকলের সম্মোহন ভাঙল যেন, অতিকায়ের বাঁ হাত বাহু থেকে কেটে পড়ে আছে তরোয়াল সমেত কোথা থেকে কিকরে নীলকমল এল কে জানে প্রজারা জয়ধ্বনি দিতে ভুলে গেছিল কয়েক পলকের জন্য, তারপর গোটা প্রাঙ্গণ আলোড়িত হল, নীলকমলের নামে ক্রুরবুদ্ধি বিহ্বল, রাজা মাথা তুলে বসেছেন, তাঁর কানে বাজছে ‘নীলকমল তোমার রক্ষক, সে তোমার ত্রাতা’
অতিকায় কখনও ভাবেনি, এরকম হতে পারে, রক্ত পড়ে পড়ে প্রাঙ্গণ ভূমি লাল হয়ে গেছে, নীলকমল নিশ্চল, শুধু স্থির চোখে তাকালো অতিকায়ের দিকে অতিকায় ভীম বেগে ছুটলো নীলকমলের দিকে এক হাত নিয়ে নীলকমল স্থির দাঁড়িয়ে, ব্যবধান কমতে সে অদ্ভুত আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে অতিকায়ের দিকে ছুঁড়ে দিল তার ঢাল, অল্প গতি স্লথ হল তার কালক্ষেপ না করে প্রচন্ড জোরে নীলকমল ছুটল অতিকায়ের দিকে, স্লথ থেকে আবার বেগ নিতে যতটা সময় ঠিক ততটা, তার মধ্যে নীলকমল এক অদ্ভুত দক্ষতায় শরীর কুঁকড়ে নিয়ে লাফ দিল শূন্যে সামনের দিকে, পলক ফেলার আগে ধাবমান ঢালে সূক্ষ্ম পদ স্পর্শ তারপর সকলে দেখল মুন্ডহীন অতিকায় কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গেল নিথরে
বিকট, আক্রোশে ছুটে যেতে চাইলে ক্রুরবুদ্ধি তাকে বাঁধা দিল নীলকমলের স্থির দৃষ্টি তার দিকে
ক্রমশ...

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...