Thursday, December 3, 2015

রাশি কথা...cont.

আমি টিভি সিরিয়ালে যৎকিঞ্চিত লেখালিখি করে থাকি। রাশি নামে একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল আছে (এখনও চলছে কিনা জানিনা) একবার সেটা লেখার কথা হয়েছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে সুযোগ টা আর হয়নি। না এখানে আমি ওভাবে টি.আর.পি বাড়াবার চেষ্টা করছিনা।
রাশি চক্র আকাশে অবস্থিত আছে, থাক। ঋষি মুনিরা কল্পনা করেছেন আকাশে কালপুরুষের অঙ্গবিভাগে এই রাশিগুলির একটা অবস্থান আছে;
  1. মেষ- মাথা
  2. বৃষ- মুখ 
  3. মিথুন- হাত
  4. কর্কট- হৃদয়/মন
  5. সিংহ- পেট
  6. কন্যা- নিতম্ব
  7. তুলা- নাভির নীচের অংশ/ তলপেট
  8.  বৃশ্চিক- গুপ্ত অঙ্গ (private parts)
  9. ধনু- থাই/ জঙ্ঘা
  10. মকর- হাঁটু
  11. কুম্ভ- গোড়ালি
  12. মীন- পায়ের পাতা (*কিছু মতে মাথার পিছনের অংশ। এটা আমার নতুন জানা, পরাশর মুনি এটা সরাসরি বলেন নি)
এই যে কালপুরুষের অঙ্গ বিভাগ এর সাথে জন্ম কুন্ডলির প্রতিটা ঘরের বা ভাবের যে কারকতা সেটারও একটা যোগাযোগ আছে। ভাব কারকতা প্রসঙ্গে আসলে ব্যাখ্যা করব। এখন লিখলে গুলিয়ে যাবে, আর অকারণে বড় হয়ে যাবে।
১২টি রাশির আলাদা আলাদা ধরন, আলাদা তত্ত্ব, আলাদা চারিত্রিক কারকতা এবং ধাতু কারকতা আছে। এছাড়াও রাশির রঙ, বর্ণ (cast) এসব ও আছে।
প্রথমত ১২টা রাশিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে,- ১)চর (movable) রাশি, ২) স্থির (fixed) রাশি , ৩) যুগ্ম (dual) রাশি।
  1. চর রাশি- মেষ, কর্কট, তুলা, মকর।
  2. স্থির রাশি- বৃষ, সিংহ, বৃশ্চিক, কুম্ভ।
  3. যুগ্ম রাশি- মিথুন, কন্যা, ধনু, মীন। *
আবার মেষ, মিথুন, সিংহ, তুলা, ধনু, কুম্ভ হল পুরুষ রাশি এবং নিষ্ঠুর রাশি,  আর বৃষ, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক, মকর, মীন হল স্ত্রী রাশি এবং সৌম্য (beneficial) রাশি। [১,৩,৫,৭,৯,১১ হল ক্রুর রাশি এবং পুরুষ আর ২,৪,৬,৮,১০,১২ হল স্ত্রী এবং সৌম্য রাশি]
রাশিরা চারটি তত্ত্ব এবং তিনটি ধাতু তে বিভক্ত। চারটি তত্ত্ব(element) হল, অগ্নি, পৃথ্বী (মাটি), জল এবং বায়ু। আর তিনটি ধাতু হল, বাত(বায়ু), পিত্ত (তাপ), কফ (শ্লেষ্মা/জল)।
প্রত্যেক রাশির একজন করে অধিপতি গ্রহ আছে।
  1. মেষ রাশি- চতুষ্পদ। রক্ত লাল রঙ, বিশাল স্থূল (bulky) শরীর, রাত্রিকালে শক্তি বাড়ে, পূর্বদিকে অবস্থান, রজোঃ গুন সম্পন্ন, ক্ষত্রিয় বর্ণ,  পিছন দিক করে উদিত(rise) হয়, পাহাড়ে চড়ে বেড়ায়, পিত্ত প্রধান ও অগ্নি মেষ রাশির তত্ত্ব এবং এর অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। 
  2. বৃষ- বৃষ রাশির রঙ সাদা, শুক্র এর অধিপতি গ্রহ। বৃষ ও চতুষ্পদ, দীর্ঘ শরীর এবং রাত্রিকালে শক্তি বাড়ে। এর অবস্থান দক্ষিন দিকে, এর প্রতীক গ্রাম, বর্ণ বৈশ্য, রজোঃ গুন সম্পন্ন, বাত প্রধান শরীর, এর তত্ত্ব পৃথ্বী এবং বৃষ রাশি পিছন দিক করে উদিত হয়। 
  3. মিথুন- মিথুন রাশি সোজা উদিত হয়, পশ্চিম দিক এবং গ্রামে অবস্থান করে(প্রতীকি), মিথুন রাশির প্রতীক দুটি নারী পুরুষ মৈথুনরত, পরাশরে বলা আছে এদের হাতে একটি দন্ড আর একটি বাদ্যযন্ত্র ধরা। বেহালা বা ভায়োলিন হবে হয়ত। মিথুন রাশি দ্বিপদ, এর তত্ত্ব বায়ু, রঙ সবুজ, নিশাচর, সম শরীর, শুদ্রবর্ণ, এর অধিপতি গ্রহ বুধ।
  4. কর্কট- ব্রাহ্মণ বর্ণ,  মেটে লাল রঙ, বনচারী (জঙ্গলে থাকে), রাত্রে বলশালী (strong), ভারী শরীর, বহুপদ, সাত্ত্বিক গুন সম্পন্ন, এর তত্ত্ব জল, পিছন দিক করে উদিত হয় এবং চন্দ্র কর্কট রাশির অধিপতি গ্রহ। 
  5. সিংহ- ব্রাহ্মণ বর্ণ, অধিপতি গ্রহ সূর্য্য, চতুষ্পদ, পূর্ব দিকে অবস্থান, ক্ষত্রিয়,দিনে বলশালী, সোজা উদিত হয়, বনচারী, হলুদ রঙ, তত্ত্ব অগ্নি এবং ভারী শরীর।
  6. কন্যা- পাহাড়ে বসবাস, দিনে বলশালী, সোজা উদিত হয়, মধ্যম শরীর, দ্বিপদ, দক্ষিনদিকে অবস্থান, প্রতীক একটি মেয়ে হাতে শস্য এবং আগুন, বৈশ্য বর্ণ, গায়ে চিত্রিত রঙ, তত্ত্ব বায়ু, তমোগুনী, স্বভাব শিশুসুলভ এবং বুধ এর অধিপতি গ্রহ।
  7. তুলা- সোজা উদিত হয়, দিনে বলশালী, কালো রঙ, রজোগুণী, পশ্চিম দিকে অবস্থান, পৃথিবীতে ঘুড়ে বেড়ায়, দ্বিপদ, হিংস্র, শুদ্র বর্ণ, মধ্যম আকৃতি (size), তুলা তত্ত্ব বায়ু এবং এই রাশির অধিপতি শুক্র গ্রহ।
  8. বৃশ্চিক- পাতলা শরীর, বহুপদ, ব্রাহ্মণ বর্ণ, উত্তর দিকে ও গর্তে বাস করে, লালচে বাদামী রঙ, জলে ও স্থলে উভচর, লোমশ দেহ, তীক্ষ্ণ হুল, এর তত্ত্ব জল এবং এই রাশির অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। 
  9. ধনু- পিছন দিক করে উদিত হয়, বৃহস্পতি এর অধিপতি গ্রহ, সত্ত্বগুণী। হলুদ রঙ এবং রাতে বলশালী। তত্ত্ব অগ্নি, ক্ষত্রিয় বর্ণ, ১৫ ডিগ্রী অবধি দ্বিপদ তারপর চতুষ্পদ। সম শরীর এবং ধনুক ও বান হাতে, পূর্ব দিকে থাকে এবং পৃথিবীতে ঘুড়ে বেড়ায়। স্বয়ং ব্রহ্মা ধনু রাশির তেজ তৈরী করেছেন।
  10. মকর- শনি এর অধিপতি গ্রহ, তত্ত্ব মাটি, তমোগুণী। দক্ষিন্দিকে থাকে এবং রাতে বলশালী।পিছন দিক করে উদিত হয়, বিশাল শরীর চিত্র বিচিত্র রঙ, বনে এবং স্থলে (land) চড়ে বেড়ায়। অর্ধেক শরীর চতুষ্পদ আর বাকী অর্ধেক পা হীন (less) জলের নীচে ভেসে বেড়ায়। মকর রাশির প্রতীক (বৈদিক মতে) মুখটা ছাগলের মত আর দেহটা তিমি মাছের।
  11. কুম্ভ- কুম্ভ রাশির প্রতীক একটি লোক কাঁধে একটা জলের ঘড়া (pot) ধরে আছে। বাদামী রঙ, মধ্যম আকৃতি, দ্বিপদ। দিনে বলশালী, গভীর জলে বাস করে এবং এর তত্ত্ব বায়ু। সোজা ভাবে উদিত হয়, তমোগুণী, শুদ্রবর্ণ। পশ্চিম দিকে অবস্থান এবং এর অধিপতি গ্রহ শনি।
  12. মীন- প্রতীক দুটি মাছ বিপরীত মুখী। দিনে বলশালী, তত্ত্ব জল, সত্ত্বগুণী এবং স্বাস্থ্যবান। হলে বাস করে এবং ব্রাহ্মণ বর্ণ। পা হীন, মধ্যম আকৃতি, উত্তর দিকে অবস্থান, সোজা এবং পিছন দুভাবেই উদিত হয়। মীন রাশির অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি।
শেষ হল। এর পরের লেখাটা আমার নিজের মত লিখব।
*লিখতে লিখতে অনেক গুলো বিষয়ে নিজের টিপ্পনি দিতে ইচ্ছা হচ্ছিল, পরের লেখায় লিখব। 
ওঁ নমঃ শিবায়।
ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়।

Monday, November 16, 2015

রামে দুই

সৃষ্টির শুরুতে কি ছিল তা নিয়ে রামায়ণ মহাভারতে অতটা না বললেও বেদ, পুরাণে বলেছে। আমার পুরাণ গুলো সরাসরি পড়া হয়ে ওঠেনি কারণ কিনতে পারিনি এখনও। এখানে একটু না বলে পারছিনা, আমায় icici bank একটা free credit card দেবে বলছে (আনন্দ পেয়ে নিশ্চয়ই নয়), যে পরিমাণ টাকা credit করা যাবে তা তো মনে হয় বই কিনেই খরচ হয়ে যাবে। এদিকে 'বেলাশেষে' দেখে আমার আবার ইচ্ছা করছে publication business করার, করব। এখানে বলে রাখি কিছু লোক কে আমি কখনও না কখনও কোনও না কোনও ভাবে কুপিত করেছি কাজের মাধ্যমে কাজটা না করে। আমি সত্যিই নিজের ব্যবহারে দুঃখিত। কিন্তু আমি দেখেছি তারা চেয়ে না চেয়ে, ভালবেসে বা না বেসে আমার সুযোগ নিয়েছেন, বাংলায় বললে exploit করেছেন। তাই as a professional আমার কোন দুঃখ নেই। তা যাকগে বললাম কারণ কিছু লোক লেখা পড়ে আবার পিনিক কাটতে যায়।
এত কথা বললাম, শুরুতে মহাতত্ত্ব নামে একটা বিষয় নিয়ে লিখব বলে রাশি নক্ষত্রে ঢুকে হালকা করে পাশ কাটিয়ে গেছি, তবে কথা দিচ্ছি নিশ্চয়ই লিখব, আসতে আসতে সে বিষয়টা লেখবার মত সহজ করে এনেছি। :)
ছোটবেলায় রচনা লেখবার সময় ও জানেন আমি পছন্দের বিষয় পেয়ে গেলে সূচনাতে হেজিয়ে ফেলতাম। রাশি নক্ষত্রের পর এবার আসব গ্রহতে। গ্রহ আসলে সাতটি- রবি, সোম(চন্দ্র), মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি। এছাড়া আরো দুটি গ্রহের কথা পরাশর বলেছেন, রাহু ও কেতু। বিজ্ঞানীরা রাহু কেতু বলতে বুঝিয়েছেন চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ স্থলে দক্ষিনে ও উত্তরে যে দুটি বিন্দু তৈরী উৎপন্ন হচ্ছে সে দুটিই যথাক্রমে কেতু এবং রাহু। প্রকৃতপক্ষে রাহু কেত গ্রহ নয়, কিন্তু মুনি ঋষিরা গ্রহ হিসাবেই ধার্য্য করেছেন এবং সেরকম ই ফল ব্যাখ্যা করেছেন। এবার এই সাতটি গ্রহের প্রত্যেকের একজন আরাধ্য দেবতা বা দেবী আছেন, তারা হলেন;
  1. রবি (সূর্য্য)- অগ্নি (বৈদিক দেবতা, আগুনের দেবতা)
  2. সোম (চন্দ্র)- বরুন (ঐ, সমুদ্র বা জলের দেবতা)
  3. মঙ্গল- কার্তিকেয় (ঐ, শিবের ঔরস জাত সন্তান, দেবতাদের সেনাপতি)
  4. বুধ- বিষ্ণু (ঐ, ত্রিদেব এর অন্যতম, পালনকর্তা, স্বয়ং নারায়ণ)
  5. বৃহস্পতি- ইন্দ্র (ঐ, স্বর্গের রাজা। ইন্দ্র- একটি পদ = designation,)
  6. শুক্র- শচী (ঐ, ইন্দ্রের স্ত্রী ইন্দ্রানী। এটিও পদ, শচী বোধহয় নাম।)
  7. শনি- ব্রহ্মা (ঐ, ত্রিদেবের অন্যতম, সৃষ্টিকর্তা)
এবার, ১২টি রাশির প্রত্যেকটির আবার একটি করে অধিপতি গ্রহ আছে,
  1. মেষ- মঙ্গল
  2. বৃষ- শুক্র
  3. মিথুন- বুধ
  4. কর্কট- চন্দ্র
  5. সিংহ- সূর্য্য
  6. কন্যা- বুধ
  7. তুলা-শুক্র
  8. বৃশ্চিক- মঙ্গল
  9. ধনু- বৃহস্পতি
  10. মকর- শনি
  11. কুম্ভ- শনি
  12. মীন- বৃহস্পতি।
আজ এপর্যন্তই থাক। পরের পর্বে রাশির ব্যাখ্যায় আসব।নতুন একটা লেখাও লিখব, যেটা লিখব বলে বহুদিন ভাবছি। আসি আজ, ভাল থাকবেন।
ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়।
ওঁ নমঃ শিবায়।

Friday, November 6, 2015

রামে রাম (শুরু করলাম)।

প্রথমে ছোট্ট করে একটু সূত্রপাত করে নি। জ্যোতিষের শুরুতে নাম, ঠিকানা, দেব বন্দনা ইত্যাদি হবার পর যা থাকে তা হল গ্রহ, নক্ষত্র, রাশি, লগ্ন- প্রাথমিক স্তরে এই। আমি ব্যাখ্যামূলক জায়গাতে যাব না বিদগ্ধ পন্ডিতেরা সেসব করেছেন, আমি শুধু মূল বিষয়টা বলব। প্রাচীন ঋষি মুনিরা দীর্ঘকাল পর্যবেক্ষনেরপর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকাশে একটি কাল্পনিক রাশিচক্র আছে, বা কালপুরুষের কাল্পনিক অবয়বের মধ্যে সেই রাশি বিভাগ দেখা যায়। এই রাশি গুলো হল-
  1. মেষ
  2. বৃষ
  3. মিথুন 
  4. কর্কট
  5. সিংহ
  6. কন্যা
  7. তুলা
  8. বৃশ্চিক
  9. ধনু
  10. মকর
  11. কুম্ভ
  12. মীন
এই রাশি চক্র কতগুলি নক্ষত্রের সমষ্টিতে তৈরী হয়েছে, এই নক্ষত্র গুলো সূর্য্যের দু পাশে অবস্থিত ২৭টি নক্ষত্রের সন্নিবেশনের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। নক্ষত্র গুলি হল;
  1. অশ্বিনী
  2. ভরণী
  3. কৃত্তিকা
  4. রোহিনী
  5. মৃগশিরা
  6. আদ্রা
  7. পুনর্বসু
  8. পুষ্যামি
  9. অশ্লেষা
  10. মঘা
  11. পূর্ব ফাল্গুনী
  12. উত্তর ফাল্গুনী
  13. হস্তা
  14. চিত্রা
  15. স্বাতী
  16. বিশাখা
  17. অনুরাধা
  18. জ্যেষ্ঠা
  19. মূলা
  20. পূর্বাষাঢ়া
  21. উত্তরাষাঢ়া
  22. শ্রবণা
  23. ধনিষ্ঠা
  24. শতভিষা
  25. পূর্বভাদ্রপদ
  26. উত্তরভাদ্রপদ
  27. রেবতী 
এই রাশি চক্রকে একটা বৃত্তের মত কল্পনা করা হয়েছে অর্থাৎ ৩৬০ডিগ্রী, এই বৃত্তটা সমান ১২টা ভাগে ভাগ করা মানে প্রতেকটা রাশির মাপ ৩০ডিগ্রী আর প্রতিটা রাশিতে সোয়া দু খানা করে নক্ষত্র পড়ছে, অর্থাৎ প্রতিটা নক্ষত্রের মান ১৩ডিগ্রী ২০মিনিট করে (বাংলায় ১৩অংশ ২০ কলা*)।
আজ এই অবধি রাখছি। একটা গল্প বলতে চাইছি আটকে আটকে যাচ্ছে... বলব পরদিন। ...........................(চলবে)।


*এই সব অংশ, কলা, বিকলা এগুলো জ্যোতিষ বই গুলোতে খুব আছে সেগুলো বাংলা বই গুলোতে একটুও সংস্কার হয়নি। আমিও রাখলাম যদি কেউ আপত্তি তোলে বলা তো যায়না। দেখা যাক।

Monday, October 26, 2015

Let's Start again.

শুভ বিজয়া। We have a great festival cum biggest ritual ceremony of Bengali's, Durga Puja. We start celebrate through marketing before couple of months ago of this Puja days but we actually enjoy the four days of Puja called 'Saptami', 'Ashtami', 'Navami' and 'Dashami'. Dashami is the ending day of  Puja and we immerse the Murti (Icon/Sculpture) of Maa Durga in Ganges and after that we greet each other as Subho Bijoya with mouth full of sweets regardless of  having diabetes or not.
যাকগে এবারে আমার পুজোটা খুব একটা ভাল কাটেনি, এবার বিশেষ কিছু সুখ থাকা সত্বেও কিছু অপূর্নতা দুঃখটা জিইয়ে রাখল। আজ লক্ষ্মী পুজো, আজ দিনটা ভাল কাটল, আজ আমি নিজে পুজো করেছি, খুব নমো নমো করে হলেও করতে পারার আনন্দেই দিনটা ভাল হয়ে গেছে।
আসল কথায় আসি, রোজই ভাবি লিখব তালে গোলে লেখা হয়না, তার মধ্যে মন খারাপছিল বেশ কদিন। আরো একটা মুশকিল ছিল যে লেখাটা লিখব ভাবছিলাম সেটা নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে ছিলাম, বেশ জটিলতা ছিল লেখাটা নিয়ে। জ্যোতিষে ৯টা গ্রহ আছে, ১২টা রাশি আছে, ২৭টা নক্ষত্র আছে এই নিয়ে মূল কারবার, এর ঠেকে অনেক বেশিও আছে তবে এগুলো ঐ অঙ্কের যোগ বিয়োগ গুন ভাগ এর মত এইটে জুত করে ধরতে না পারলেই কেলো। কিন্তু এখানে গল্প শুরু হয়েছে সৃষ্টির পূর্ব থেকে, তখন পৃথিবী অন্ধকার বা জলমগ্ন আর স্বয়ম্ভু বিষ্ণু যোগনিদ্রায় নিদ্রিত। লক্ষ্মী টক্ষ্মী তখনও আসেনি (নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন) তখন ওনার সাথে শ্রী শক্তি, ভূ শক্তি আর নীল শক্তির মিলনের ফলে তিন রকম অহঙ্কার এর উৎপত্তি হয়, যথা- সত্ত্ব, রজঃ এবং তম। এই অহঙ্কার থেকে ক্রমে পঞ্চ ভূত এবং সেখান থেকে ইন্দ্রিয় তথা অনুভুতি গুলোর জন্ম, আর এই গোটা ব্যাপারটা মহাতত্ত্ব নামে খ্যাত।
এর অনেক গুলো ব্যাখ্যা আছে, তবে আমি আজ একটু ক্লান্ত  আর ব্যাপারটা নিজে আর একবার বুঝতে গিয়ে একটু ঘেঁটে গেছি। কাল আশা করছি ব্যাখ্যা সমেত আপনাদের কাছে আবার হাজির হতে পারব।
নমস্কার। শ্রী লক্ষ্মী দেব্যৈই নমোঃ।

Wednesday, October 7, 2015

coming soon!

কিছু সমস্যার জন্য নতুন লেখা দিতে দেরী হচ্ছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি নতুন update নিয়ে হাজির হচ্ছি। আসলে আমার বাড়িতে আমার কাছে একজন নতুন সদস্য এসেছে তাকে নিয়ে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি, আর টুকটাক কিছু সমস্যা তো আছেই যেগুলো যাওয়ার নয়।
যাইহোক আসছি খুব তাড়াতাড়ি। জয় গুরু।
আমার বাড়ির নতুন সদস্য 'দুষ্টু'। :)

Thursday, September 24, 2015

পরাশর, ব্যাস, মহাভারত এবং আরো কিছু।

প্রথমেই কিছু গৌড়চন্দ্রিকার দরকার আছে। এই যে আমি নামকরণ টা ঠিক করে করতে পারছিলাম না তাই লেখাটা আটকে ছিল, শেষকালে সিদ্ধিদাতা বুঝি আশীর্বাদ করলেন (ও আজকাল একটু সেবা করছি ওনার, ওনেক কিছু আটকে রয়েছে কিনা। স্বার্থপর ভাবলেও কিছু করার নেই, খুবই কুতঃ মনুষ্য আমি,তায় বামুন পেট না ভরলে গুন গাইতে পারিনা।), নামটা চলে এল ফস্ করে। এবার ২য় কথাটা বলে নি, আমি মশাই খুব সিরিয়াসলি(চাইনিজ নন) সিরিয়াস কথা লিখতে পারবনা।
পরাশর মুনি (পরে এনাকে নিয়ে একটা লেখা লিখব ইচ্ছা রইল, আজ এখন হঠাৎ খুব লঘু হয়ে উঠেছে মন টা, যদিও বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র নিয়ে দু-চার কথা বলব।) হলেন এককথায় মহাভারতের স্রষ্টা। মহাভারতের কথাটা না বলে নিয়ে শাস্ত্রে ঢুকে পড়াটা ঠিক হবেনা।আমি পেত্থমবার মহাভারত পড়ি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর 'ছেলেদের মহাভারত' (একটা প্রশ্ন থাকতেই পারে!), তখন আমার বয়স ৭ কি ৮ হবে। এর আগে অবশ্য আমার B.R.Chopra মহাশয় মহাভারত দেখিয়েছিলেন, তবু মহাভারত নিয়ে বোধটা, জরাসন্ধ বধ, কীচক বধ, দুঃশাসনের রক্তপান, কর্ণ বধ এই এতগুলো action film আমায় আমার ভগবানের ঠাকুরদাদাই দেখিয়েছিলেন। তো বড় হতে হতে আমি আরো আরো মহাভারত পড়ার চেষ্টা করেছি, আক্ষেপ করেছি, rewriting এত ভাল হলে না জানি সমসকিত জানলে কিরকম লাগত। মহাভারতে আছে, রাজা জনমেজয় জিজ্ঞাসা করছেন আর বৈশম্পায়ন গল্প বলছেন (এরকম ভাবেই লেখা হত বা বলা হত সেসময়। কয়েকটা কূট প্রশ্ন আসছে কিন্তু মনে খটকা আছে তাই আর চাগালুম না।) , এই পরাশর হোরাও একই ভাবে লেখা। মৈত্রেয় প্রশ্ন করছেন আর পরাশর মুনি উত্তর এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করছেন।
তা মৈত্রেয় জিজ্ঞাসা করলেন, 'আইজ্ঞে কত্তা, জ্যোতিষ শুনেছি ব্যাদের (বেদ) চক্ষু বইল্যা ল্যাখা আছে। তা যদি খোলসা করে বলেন তাইলে উপকৃত হব'। এ কথার উত্তরে (প্রশ্নে আরো একটু ছিল, বলছি।)  পরাশর বললেন, "সূর্য্য, পিতামহ, ব্যাস, বশিষ্ট, অত্রি, পরাশর, কাশ্যপ, নারদ, গর্গ, মরীচি, মনু, অঙ্গিরা, লোমশ, পৌলিশ, চ্যবন, যবন, ভৃগু এবং সৌনক" এই ১৮ জন  জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রণীতা বা স্রষ্টা।
বলা হচ্ছে পিতামহ অর্থাৎ ব্রহ্মা স্বয়ং জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং তার রহস্য উদ্ধার করেন এবং নারদকে (ব্রহ্মার মানস পুত্র ) এই জ্ঞান দান করেন। নারদ আবার এই রহস্য সৌনক মুনিকে শেখান, পরাশর ঋষি, এই সৌনক মুনির থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রের শিক্ষা পান।
শুরুটা এই অবধি হল। এর সাথে প্রশ্ন করে বসলেন মৈত্রেয়, "ঠাকুর সৃষ্টির শুরুর গপ্পোটা যদি একটু বলেন।" এই সময় পরাশর মুনির তামুক টামুক পেয়েছিল কিনা বলেনি, তবে কমার্শিয়াল ব্রেক নিয়েছিলেন এটা আমি নিশ্চিত। তবে আমার দুটো confusion আছে। এক, আমার মহাভারতে সৌনক আর শৌনক এই দুটো বানান আছে এরা কি পৃথক?  না হলে, আমার গোত্র আমি জানি শৌনক সেটা কি এই গল্পটার সাথে কোন ভাবে যুক্ত?
যাকগে ছাড়ুন অপেক্ষা করতে পারেন না কলেও নিজের তাগিদেই আবার আসছি আমি। জটিলতা তো সবে শুরু।
জয় রাধে মাধব!

Tuesday, September 15, 2015

এমনি একটা

যেটা যেভাবে লিখব ভাবছি, জানিনা হবে কিনা, পারব কিনা। আজ একটা কারণে আমার মন টা খারাপ হয়ে গেছে। আবার ভালোও আছে, তবে আশাহত হলে প্রাথমিক ভাবে খারাপটাই বোধহয়।
একটা ভাল লেখা লিখব, প্রস্তুতি চলছে, খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসছি। মন খারাপ্টা নিয়েও লিখতে পারতাম কিন্তু বিষয়টা একটু নরম গোছের, লিখে মজা পাবনা। অন্য কোন সময়ে মজা করতে পারলে নিশ্চয় লিখব।
ভাল থাকবেন সক্কলে। ৮০।

Wednesday, September 9, 2015

শুরুর কথা।

আমি ২০১২ তে একটা শর্ট ফিল্ম করার চেষ্টা করেছিলাম, নাম ছিল 'প্রেমের কথা', দুর্ভাগ্য! সেটা আর শেষ করা হয়ে ওঠেনি বিভিন্ন কারণে। যাক নামকরণ হেতু কথাটা মনে পড়ে গেল।
এখানে অবশ্য প্রেক্ষিত অন্য, একটু দু'কথা বলার প্রয়োজন আছে, মোটামুটি ২০১০ থেকে একটু একটু করে আমি জ্যোতিষ বিষয়টা নিয়ে আমি পড়াশুনা করছি, এখনও মনে প্রচুর প্রশ্ন এবং সদুত্তর দেওয়ার মত কোন গুরু আমি পাইনি। তবে প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষ দু একজন কে পেয়েছি যারা আমায় পথ দেখিয়েছেন। প্রথম যে বইটির হাত ধরে আমি সামান্য কিছু বুঝতে শিখি সেটা হল, Linda Goodman এর লেখা 'Sun Sign' এবং ২০১৩ থেকে নিয়মিত KRS Channel এর শিক্ষার্থী।
আমার এমন কিছু পান্ডিত্য বা বোধ যদিও তৈরী হয়নি যে আমি নিজস্ব মতামত দেব, আমি শুধু যা শিখছি যেটুকু বুঝছি সেটুকু একটু ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে চাই। কথায় আছে, 'practice makes a man perfect' ওইটুকুই আরকি। তবে আমি দেখেছি বাংলায় খুব একটা ভাল জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর বই নেই (কলেজস্ট্রীট ঘুরে আমি অন্তত সেরকম কিছু যথা- বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র কি বৃহৎ জাতক এসবের কোন বাংলা সংস্করণ খুঁজে পাইনি), আর যেটুকু আছে তাতে স্বল্পজ্ঞানীদের বা নতুন যারা শিখছে তাদের কোন উপকার হবেনা। ইংরাজী ভাষায় আছে যদিও, তবু আমি ভেবে দেখলাম এরকম আমার মত কেউ কেউ তো থাকতেই পারে যাদের মাতৃভাষায় (বাংলা) বেশীই সাচ্ছন্দ্য। তাই যা পড়ছি, দেখছি, শিখছি, বুঝছি একটু আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
তারপর দেখে নিচ্ছি কি হয়!
আপাতত আজ এ পর্যন্ত ই রাখলাম, এখনও অনেক গোলমাল আছে বাংলায় যাকে বলে confusion.
৮০ হ্যাঁ। ভালো থাকবেন সক্কলে। নমস্কার।

Sunday, September 6, 2015

Preface

Let me start from the beginning. Firstly, thanks to Google, at last they approved my adsense account.
Actually, for last 4 years I have been studying astrology, and I have a desire to know it better, but as it says, ‘Jyotish’(astrology) is a ‘Gurumukhi vidya’(the knowledge transfer by teacher), and it is also said that getting a guru is a divine blessing which I haven’t acquired yet.  I think my planets are not favouring me yet. It’s okay. As Mr. Bachchan says as his father used to say, ‘when things are happening yours way it's good but when they are not according to your wish that is even better, as then it is according to 'His’ (Basu khuro) wish.
 I’m neither an astrologer nor a Pandit(knowledgeable person).  Admitting me as an entertainer and the fact which came to realisation while studying astrology and having the fun of it is a great entertainment itself. I just want to share that, and ‘Jyotish’ is describes as the eyes of ‘Veda’, eyes give us the power of realising the fact of fun or the vice versa
So, here I come to the point that I just want to share my learning and some little feelings which I have acquired through this infinity processing of knowledge. The most important thing is that I did not find any proper book or video on astrology in my vernacular Bengali (It was so difficult to feel the essence of a vast subject like astrology through some other’s language at least for me and I think there are few more poor people who are same like me.) and I’m so unlucky that I still could not learn  Sanskrit.   Apart from this the books of astrology which are available (I could not found so much in Kolkata) the descriptions are not so user friendly and because of that most of the people have their different and   individual opinion on this subject. I do not have any rebel idea or reform the opinions, I just want to keep informing through my blogs or video how far I can and my ability supports it.
Yeah, I will do it in a bilingual medium Bengali and English (at least I shall try to do so for each post) because as you know ‘kali’ (yuga- will discuss it later/ search 'yuga' in Google/ last time period of Hindu puranas ) has entered completely , and I could not escape from its effects of 'ripu's (enemys of human body namely; lust, anger, greed, illusion, arrogance and jealousy). Let me clear myself, may be it sounds a little bit philosophical but as per Lord Krishna, I also don't have the command on Daiva (the fifth element, which controls our fate, karma whatever*) but I can control my deeds or my vision or the desire which are the driving force of my path, but  one thing I have to confess that, according to again Lord Krishna; "Karmanye Vadhikaraste, Ma phaleshou kada chana, Ma Karma Phala Hetur Bhurmatey Sangostva Akarmani" -I cannot accept it this way, I need a proper vision of purpose, why am I doing these? At least I want the fun of it. I have a point to argue on behalf of me, for that I want to recommend a story 'bheem-geeta' written by Rajsekhar Basu (those who read it hope you could guess my point rest and who are unknown of Bengali, I will definitely serve for you later).
This is it for now guys. :)

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...