Wednesday, May 6, 2020

পুরাণ কথা ১

১।

বালখিল্যের অভিশাপ

নতুন দিনে গাইব গাঁথা
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ ত্রাতা।
নতুন করে গাইব তবে
মন কালি কলমের যোগে
অন্য কাল কথা।

ইন্দ্র তখন ঘোড়ায় চড়ে
রাজ্য দেখেন ঘুরে ঘুরে
ঘোড়ার ভারী খুঁড়ের ভারে
মাটি খসে ধুলো ওড়ে
পৃথ্বী বসে যায়।

ঠিক সেথায় তখন দৈববশে
যজ্ঞ করতে হিসাব কষে
আঙ্গুল প্রমান প্রবল তেজী
বালখিল্য মুনিরা জেদী
ছিলেন বিদ্যমান।

গ্রহের ফেরে টলমল
মুনিরা সব পিছলে গেলো।
দেখে বুঝে এত কান্ড
অধর কোণে হাসেন ইন্দ্র।
ক্ষেপল মুনিরা।

তারা রাগের বশে বলল শেষে
শাপ দিল জল নিয়ে কোষে
ইন্দ্রাসন তোর যাবে ঘুচে
যতই পা ধর দৌঁড়ে এসে,
এই করেছি ষড়।

হাপুস নয়ন কেঁদে কেটে
ইন্দ্র গেল দাদুর কাছে।
নেড়ে দাড়ি বলেন কেশে,
চারটি মুখে অল্প হেসে
কমলযোনি প্রজাপতি ব্রহ্মদেবতা।

"ফাজলামি কি যাবেনা তোর?
মরবি যখন একবারে মর।
খুঁচিয়ে দিলে যাবে ঘেঁটে
থাকো ঝুলে মুন্ড হেঁটে
দেখছি 'বি' অপশন"।

জানল দাদু কীর্তি রাজার
স্বর্গরাজ্য ভোগে এবার
জন্ম নিবে নতুন ইন্দ্র
শাপ দিয়েছেন মুনিবৃন্দ
পারবে না মা তরাতে।

একপ্রস্থ আবার কাঁদন
দাদু তবে কিসের আপন?
-আচ্ছা বাপু, জ্বালাস নে আর
হাজার বছর কর গিয়ে পার।
দেখি কি আছে তোর কপালে!

আরো আসছে...

সায়ক চক্রবর্তী।

শূন্য আর দাঁড়ির খেলা।



শুনতে যদি না চাও
তবে বন্ধ হোক
যাবতীয় ধ্বনি, স্বর, সুর।

যদি সত্যের অপলাপ হয়,
তবে স্তব্ধ হোক প্রথমেন্দ্রিয়।
যাবতীয় দৃশ্য, আলো, রঙ, রূপ
মিশে যাক আদিম অন্ধকারে।

যদি অজ্ঞাত থাকে সুখানুভুতি
স্পর্শ, চুম্বন, শৃঙ্গার এসব
তাহলে মিথ্যা।

ঘোর অন্ধকারে মহাশূন্যে
একা তুমি এবং অন্ধকার।
তুমি থেকে আমি হওয়াই
আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা।

অন্ধকারে দেখতে লাগেনা,
শুনতে হয়না, স্পর্শের অবকাশ নেই।
শুধু তুমি জানো, আমি কে
আমি জানি অন্ধকারের ক্ষমতা।

প্রসবক্ষণে আলোর জন্ম।
এসব কথা অন্ধকার জানে।
আমি জানি, তুমি এখনও আলোর সীমা পেরোওনি।

এসো, অন্ধকার অনন্ত অপেক্ষার ধৈর্য্য রাখে।
তোমার কাছে সুযোগ অসীম।

নাদ থেকে অনাদি হওয়া যায়,
আবার নাদবিন্দুতে বুড়ি ছোঁয়া,
অনবরত, অবিরাম, নিরন্তর...
শূন্য আর দাঁড়ির খেলা।

সায়ক চক্রবর্তী।

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...