Thursday, September 24, 2015

পরাশর, ব্যাস, মহাভারত এবং আরো কিছু।

প্রথমেই কিছু গৌড়চন্দ্রিকার দরকার আছে। এই যে আমি নামকরণ টা ঠিক করে করতে পারছিলাম না তাই লেখাটা আটকে ছিল, শেষকালে সিদ্ধিদাতা বুঝি আশীর্বাদ করলেন (ও আজকাল একটু সেবা করছি ওনার, ওনেক কিছু আটকে রয়েছে কিনা। স্বার্থপর ভাবলেও কিছু করার নেই, খুবই কুতঃ মনুষ্য আমি,তায় বামুন পেট না ভরলে গুন গাইতে পারিনা।), নামটা চলে এল ফস্ করে। এবার ২য় কথাটা বলে নি, আমি মশাই খুব সিরিয়াসলি(চাইনিজ নন) সিরিয়াস কথা লিখতে পারবনা।
পরাশর মুনি (পরে এনাকে নিয়ে একটা লেখা লিখব ইচ্ছা রইল, আজ এখন হঠাৎ খুব লঘু হয়ে উঠেছে মন টা, যদিও বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র নিয়ে দু-চার কথা বলব।) হলেন এককথায় মহাভারতের স্রষ্টা। মহাভারতের কথাটা না বলে নিয়ে শাস্ত্রে ঢুকে পড়াটা ঠিক হবেনা।আমি পেত্থমবার মহাভারত পড়ি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর 'ছেলেদের মহাভারত' (একটা প্রশ্ন থাকতেই পারে!), তখন আমার বয়স ৭ কি ৮ হবে। এর আগে অবশ্য আমার B.R.Chopra মহাশয় মহাভারত দেখিয়েছিলেন, তবু মহাভারত নিয়ে বোধটা, জরাসন্ধ বধ, কীচক বধ, দুঃশাসনের রক্তপান, কর্ণ বধ এই এতগুলো action film আমায় আমার ভগবানের ঠাকুরদাদাই দেখিয়েছিলেন। তো বড় হতে হতে আমি আরো আরো মহাভারত পড়ার চেষ্টা করেছি, আক্ষেপ করেছি, rewriting এত ভাল হলে না জানি সমসকিত জানলে কিরকম লাগত। মহাভারতে আছে, রাজা জনমেজয় জিজ্ঞাসা করছেন আর বৈশম্পায়ন গল্প বলছেন (এরকম ভাবেই লেখা হত বা বলা হত সেসময়। কয়েকটা কূট প্রশ্ন আসছে কিন্তু মনে খটকা আছে তাই আর চাগালুম না।) , এই পরাশর হোরাও একই ভাবে লেখা। মৈত্রেয় প্রশ্ন করছেন আর পরাশর মুনি উত্তর এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করছেন।
তা মৈত্রেয় জিজ্ঞাসা করলেন, 'আইজ্ঞে কত্তা, জ্যোতিষ শুনেছি ব্যাদের (বেদ) চক্ষু বইল্যা ল্যাখা আছে। তা যদি খোলসা করে বলেন তাইলে উপকৃত হব'। এ কথার উত্তরে (প্রশ্নে আরো একটু ছিল, বলছি।)  পরাশর বললেন, "সূর্য্য, পিতামহ, ব্যাস, বশিষ্ট, অত্রি, পরাশর, কাশ্যপ, নারদ, গর্গ, মরীচি, মনু, অঙ্গিরা, লোমশ, পৌলিশ, চ্যবন, যবন, ভৃগু এবং সৌনক" এই ১৮ জন  জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রণীতা বা স্রষ্টা।
বলা হচ্ছে পিতামহ অর্থাৎ ব্রহ্মা স্বয়ং জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং তার রহস্য উদ্ধার করেন এবং নারদকে (ব্রহ্মার মানস পুত্র ) এই জ্ঞান দান করেন। নারদ আবার এই রহস্য সৌনক মুনিকে শেখান, পরাশর ঋষি, এই সৌনক মুনির থেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রের শিক্ষা পান।
শুরুটা এই অবধি হল। এর সাথে প্রশ্ন করে বসলেন মৈত্রেয়, "ঠাকুর সৃষ্টির শুরুর গপ্পোটা যদি একটু বলেন।" এই সময় পরাশর মুনির তামুক টামুক পেয়েছিল কিনা বলেনি, তবে কমার্শিয়াল ব্রেক নিয়েছিলেন এটা আমি নিশ্চিত। তবে আমার দুটো confusion আছে। এক, আমার মহাভারতে সৌনক আর শৌনক এই দুটো বানান আছে এরা কি পৃথক?  না হলে, আমার গোত্র আমি জানি শৌনক সেটা কি এই গল্পটার সাথে কোন ভাবে যুক্ত?
যাকগে ছাড়ুন অপেক্ষা করতে পারেন না কলেও নিজের তাগিদেই আবার আসছি আমি। জটিলতা তো সবে শুরু।
জয় রাধে মাধব!

No comments:

Post a Comment

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...