Monday, November 16, 2015

রামে দুই

সৃষ্টির শুরুতে কি ছিল তা নিয়ে রামায়ণ মহাভারতে অতটা না বললেও বেদ, পুরাণে বলেছে। আমার পুরাণ গুলো সরাসরি পড়া হয়ে ওঠেনি কারণ কিনতে পারিনি এখনও। এখানে একটু না বলে পারছিনা, আমায় icici bank একটা free credit card দেবে বলছে (আনন্দ পেয়ে নিশ্চয়ই নয়), যে পরিমাণ টাকা credit করা যাবে তা তো মনে হয় বই কিনেই খরচ হয়ে যাবে। এদিকে 'বেলাশেষে' দেখে আমার আবার ইচ্ছা করছে publication business করার, করব। এখানে বলে রাখি কিছু লোক কে আমি কখনও না কখনও কোনও না কোনও ভাবে কুপিত করেছি কাজের মাধ্যমে কাজটা না করে। আমি সত্যিই নিজের ব্যবহারে দুঃখিত। কিন্তু আমি দেখেছি তারা চেয়ে না চেয়ে, ভালবেসে বা না বেসে আমার সুযোগ নিয়েছেন, বাংলায় বললে exploit করেছেন। তাই as a professional আমার কোন দুঃখ নেই। তা যাকগে বললাম কারণ কিছু লোক লেখা পড়ে আবার পিনিক কাটতে যায়।
এত কথা বললাম, শুরুতে মহাতত্ত্ব নামে একটা বিষয় নিয়ে লিখব বলে রাশি নক্ষত্রে ঢুকে হালকা করে পাশ কাটিয়ে গেছি, তবে কথা দিচ্ছি নিশ্চয়ই লিখব, আসতে আসতে সে বিষয়টা লেখবার মত সহজ করে এনেছি। :)
ছোটবেলায় রচনা লেখবার সময় ও জানেন আমি পছন্দের বিষয় পেয়ে গেলে সূচনাতে হেজিয়ে ফেলতাম। রাশি নক্ষত্রের পর এবার আসব গ্রহতে। গ্রহ আসলে সাতটি- রবি, সোম(চন্দ্র), মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি। এছাড়া আরো দুটি গ্রহের কথা পরাশর বলেছেন, রাহু ও কেতু। বিজ্ঞানীরা রাহু কেতু বলতে বুঝিয়েছেন চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ স্থলে দক্ষিনে ও উত্তরে যে দুটি বিন্দু তৈরী উৎপন্ন হচ্ছে সে দুটিই যথাক্রমে কেতু এবং রাহু। প্রকৃতপক্ষে রাহু কেত গ্রহ নয়, কিন্তু মুনি ঋষিরা গ্রহ হিসাবেই ধার্য্য করেছেন এবং সেরকম ই ফল ব্যাখ্যা করেছেন। এবার এই সাতটি গ্রহের প্রত্যেকের একজন আরাধ্য দেবতা বা দেবী আছেন, তারা হলেন;
  1. রবি (সূর্য্য)- অগ্নি (বৈদিক দেবতা, আগুনের দেবতা)
  2. সোম (চন্দ্র)- বরুন (ঐ, সমুদ্র বা জলের দেবতা)
  3. মঙ্গল- কার্তিকেয় (ঐ, শিবের ঔরস জাত সন্তান, দেবতাদের সেনাপতি)
  4. বুধ- বিষ্ণু (ঐ, ত্রিদেব এর অন্যতম, পালনকর্তা, স্বয়ং নারায়ণ)
  5. বৃহস্পতি- ইন্দ্র (ঐ, স্বর্গের রাজা। ইন্দ্র- একটি পদ = designation,)
  6. শুক্র- শচী (ঐ, ইন্দ্রের স্ত্রী ইন্দ্রানী। এটিও পদ, শচী বোধহয় নাম।)
  7. শনি- ব্রহ্মা (ঐ, ত্রিদেবের অন্যতম, সৃষ্টিকর্তা)
এবার, ১২টি রাশির প্রত্যেকটির আবার একটি করে অধিপতি গ্রহ আছে,
  1. মেষ- মঙ্গল
  2. বৃষ- শুক্র
  3. মিথুন- বুধ
  4. কর্কট- চন্দ্র
  5. সিংহ- সূর্য্য
  6. কন্যা- বুধ
  7. তুলা-শুক্র
  8. বৃশ্চিক- মঙ্গল
  9. ধনু- বৃহস্পতি
  10. মকর- শনি
  11. কুম্ভ- শনি
  12. মীন- বৃহস্পতি।
আজ এপর্যন্তই থাক। পরের পর্বে রাশির ব্যাখ্যায় আসব।নতুন একটা লেখাও লিখব, যেটা লিখব বলে বহুদিন ভাবছি। আসি আজ, ভাল থাকবেন।
ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়।
ওঁ নমঃ শিবায়।

Friday, November 6, 2015

রামে রাম (শুরু করলাম)।

প্রথমে ছোট্ট করে একটু সূত্রপাত করে নি। জ্যোতিষের শুরুতে নাম, ঠিকানা, দেব বন্দনা ইত্যাদি হবার পর যা থাকে তা হল গ্রহ, নক্ষত্র, রাশি, লগ্ন- প্রাথমিক স্তরে এই। আমি ব্যাখ্যামূলক জায়গাতে যাব না বিদগ্ধ পন্ডিতেরা সেসব করেছেন, আমি শুধু মূল বিষয়টা বলব। প্রাচীন ঋষি মুনিরা দীর্ঘকাল পর্যবেক্ষনেরপর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকাশে একটি কাল্পনিক রাশিচক্র আছে, বা কালপুরুষের কাল্পনিক অবয়বের মধ্যে সেই রাশি বিভাগ দেখা যায়। এই রাশি গুলো হল-
  1. মেষ
  2. বৃষ
  3. মিথুন 
  4. কর্কট
  5. সিংহ
  6. কন্যা
  7. তুলা
  8. বৃশ্চিক
  9. ধনু
  10. মকর
  11. কুম্ভ
  12. মীন
এই রাশি চক্র কতগুলি নক্ষত্রের সমষ্টিতে তৈরী হয়েছে, এই নক্ষত্র গুলো সূর্য্যের দু পাশে অবস্থিত ২৭টি নক্ষত্রের সন্নিবেশনের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। নক্ষত্র গুলি হল;
  1. অশ্বিনী
  2. ভরণী
  3. কৃত্তিকা
  4. রোহিনী
  5. মৃগশিরা
  6. আদ্রা
  7. পুনর্বসু
  8. পুষ্যামি
  9. অশ্লেষা
  10. মঘা
  11. পূর্ব ফাল্গুনী
  12. উত্তর ফাল্গুনী
  13. হস্তা
  14. চিত্রা
  15. স্বাতী
  16. বিশাখা
  17. অনুরাধা
  18. জ্যেষ্ঠা
  19. মূলা
  20. পূর্বাষাঢ়া
  21. উত্তরাষাঢ়া
  22. শ্রবণা
  23. ধনিষ্ঠা
  24. শতভিষা
  25. পূর্বভাদ্রপদ
  26. উত্তরভাদ্রপদ
  27. রেবতী 
এই রাশি চক্রকে একটা বৃত্তের মত কল্পনা করা হয়েছে অর্থাৎ ৩৬০ডিগ্রী, এই বৃত্তটা সমান ১২টা ভাগে ভাগ করা মানে প্রতেকটা রাশির মাপ ৩০ডিগ্রী আর প্রতিটা রাশিতে সোয়া দু খানা করে নক্ষত্র পড়ছে, অর্থাৎ প্রতিটা নক্ষত্রের মান ১৩ডিগ্রী ২০মিনিট করে (বাংলায় ১৩অংশ ২০ কলা*)।
আজ এই অবধি রাখছি। একটা গল্প বলতে চাইছি আটকে আটকে যাচ্ছে... বলব পরদিন। ...........................(চলবে)।


*এই সব অংশ, কলা, বিকলা এগুলো জ্যোতিষ বই গুলোতে খুব আছে সেগুলো বাংলা বই গুলোতে একটুও সংস্কার হয়নি। আমিও রাখলাম যদি কেউ আপত্তি তোলে বলা তো যায়না। দেখা যাক।

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...