Saturday, February 22, 2020

২১/২/২০২০

আজ ভাষা দিবস, বাংলা ভাষা দিবস, বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস। এটার বিশেষ করে বিশেষ কোনো গুরুত্ব আমি কোনদিনও টের পাইনি। হতে পারে আমার অপারগতা। ছোটবেলায় ২১শে ফেব্রুয়ারি এলে মা বলত, 'আজ ভাষা দিবস'। আমি বুঝতে পারতাম না আজ তাহলে কি করতে হবে! এখনও বুঝতে পারিনা।
যাক, এসব বলতে আসিনি, একটা লেখা পড়তে গিয়ে একটা ছোটবেলার গল্প মনে পড়ে গেল। আমাদের কালে আমরা এমন অনেককিছু নিয়ে খেলতাম, ভাবতাম, গল্প শুনতাম যা আজকাল কেন আমাদের সময়কার অনেকেই দেখি জানেনা, শোনেনি। কে জানে কোথায় চুল কাটায় তারা!
ছোটবেলায় আমার কাছে, মামাবাড়ি যাওয়া একটা বিশাল ঘটনা ছিল, গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটিতে যেতেই হবে। একদম যখন ছোট, আমার মামাতো বোন রিয়া, তখন বেদম দুষ্টু ছিল, ওকে নাকি বসিয়ে রাখা যেতনা। আমার মায়ের মামা বলতেন, "খালি মেরিগুল্লি পাক দিতাসে"। আমি ছোট থেকেই বেশি ছটফটানির মধ্যে থাকতে ভালোবাসতাম না। তো এহেন রিয়াকে ভয় দেখানোর জন্য তো একটা ভয়ঙ্কর কিছু চাই। আমার বড়মামা একটা বস্তু বা প্রাণী আবিষ্কার করেছিলেন, একটা না দুটো। প্রথমটা হল, জলুইজাঙ্গা আর ২য় টি দপাং দপাং। আমার যদ্দুর মনে পড়ে দুটোই আসলে একই প্রাণী। যার ইয়া বড় চেহারা, তিনটে ঠ্যাং, ও হ্যাঁ তাকে তিনঠেঙ্গো বলেও ডাকা হত। এই যে তিনটে ঠ্যাং, এর একটা থাকত আমার মামার বাড়ির মাথায়, একটা থাকত বাসুদা দের বাড়ির মাথায় আর ৩য় পা টা মান্টি দিদিদের বাড়ির মাথায়। এবার বাসুদা হল এক জনৈক আমার এখন তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু মনে পড়ছেনা। আর মান্টি হল আমার আরেক মামাতো দিদি, তাদের বাড়িটা বেশ দু মিনিটের হাঁটা দূরত্বে। এবার এই তিনঠেঙ্গোর তিনটে চোখ বা দুটোও হতে পারে সেটা সর্বক্ষণ দপাং দপাং করে জ্বলত।
গল্প এটাও নয়, গল্পটা হল একদিন আমি দুপুরে ঘুমোচ্ছি, এমন সময় রিয়া আমাকে অপার বিষ্ময় আর ভয় নিয়ে ডেকে তোলে। সেসময় রিয়া আমাকে 'সায়ক দাদা' বলে ডাকতে পারত না, 'তাক দাদা' বলে ডাকত। আমি ওর সেই ডাক শুনে উঠতেই ও বলল, "ঐ দেখ দপাং দপাং!" আমি দেখি দেওয়াল ধরে একটা শুয়োপোকা বাইছে।
আমি এখনও মাঝে মাঝে ভাবি, রিয়া ওরকম একটা ভয়ঙ্কর প্রাণী কে শুয়োপোকার মধ্যে কিভাবে খুঁজে পেল!
যাক, কি যোগাযোগ আমি পেলাম এই গল্পের সাথে ভাষাদিবসের আমি নিজেও ভাবছি!
তবে শুনলাম বৈদ্যবাটী তে নাকি সস্তায় ভাল গাঁজা পাওয়া যায়। একবার যাব ভাবছি। ও, বৈদ্যবাটীতে আমার মামাবাড়ি।

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...