Thursday, June 20, 2019

রূপ দেখতে তরাস লাগে-৩

বীভৎস রাত্রি
অস্ত্রক্রীড়ার প্রাঙ্গন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেখে ক্রুরবুদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে তা থামিয়ে দিলেন। রাজগুরু কোথা থেকে ছুটে এসে লালকমল আর নীলকমল কে নিয়ে চলে যান। রাজগুরুকে কেউ এসে ভুল খবর দিয়ে অস্ত্রক্রীড়ার সময় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, বুঝতে ফেরে ফিরে আসতে আসতে যা ঘটার তা ঘটে গেছে। কিন্তু নীলকমল এরকম কিছু করবে তা তিনি ভাবতে পারেননি।
১৩ বছরের একটা ছেলে অতিকায় এর মত একজনের ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দিল, বিকট আর দুর্ধর্ষ ভাবতেই পারছেনা। ক্রুরবুদ্ধি সেই থেকে আর কোনো কথা বলেনি এখনও। নীলকমলের মা ছোটরানী ক্রুরবুদ্ধির ঘরে ঢুকতেই ফেটে পড়ে বিকট, - “তোমার ছেলে বলে কি নীলকমলকে কিছু বলা হবেনা?” রানী কি বলবে বুঝতে না পেরে বাবার দিকে তাকায়, বিকট আরো রাগে বলে, “তোমরা কিছু না করলেও আমি আমার বন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নেব, আজ রাতেই নেব, সোজা পথে নাহলে বাঁকা পথে”।
বিকট আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল, ক্রুরবুদ্ধি তাকে থামিয়ে বলে, “বাঁকা পথেও পারবেনা, নীলকমলকে হারাতে। যুদ্ধের কোন কৌশলেই ওকে হারানো সম্ভব নয়, নীলকমলকে হারাতে অন্য ছল করতে হবে...”।
রাণী হঠাৎ বলে ওঠে, “আমি জানি কি করতে হবে। আজ রাতে তোমাদের কোনো লোক যেন প্রাসাদের আশে পাশে না থাকে” এই বলে রাণী বেরিয়ে যায়। বিকট কিছু বলতে গেলে, ক্রুরবুদ্ধি তাকে থামিয়ে বলে, “এখন আমায় একটু একা থাকতে দাও, যা করার কাল দেখা যাবে”। হাতে হাত ঘষতে ঘষতে বিকট আর দুর্ধর্ষ বেরিয়ে যায়।
রাতে রাজা এসেছিলেন নীলকমলের কাছে, কিছু বলেননি শুধু একবার নীলকমলের হাতের উপর হাতটা রেখেছিলেন। একেবারে একা হয়ে যাওয়ার পর নীলকমল ভাবতে বসে, আজ সত্যিই কি হল! অতিকায় যখন লালকে খেলাচ্ছিল নীলকমলের মনে হচ্ছিল শুধুই বোধহয় তাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে, কিন্তু হঠাৎ কেন যেন মনে হল অতিকায় চাইছে লালকমলকে মারতে। চারিদিকে তাকিয়ে নীলকমল দেখল রাজগুরু কোথাও নেই, দূরে বিকট আর দুর্ধর্ষ অদ্ভুত এক পৈশাচিক আনন্দে হাসছে। কি যে হল তারপর তা নীলকমল নিজেও ভালো করে জানেনা, শুধু মনে পড়ে কে যেন কানের কাছে বলে উঠল, “যাও নীলকমল, লালকমলের বিপদ”। এরপর কিভাবে নীলকমল সেখানে পৌঁছল, কিভাবে সে যুদ্ধ করল, কিছুই তার ভাল করে মনে নেই। শুধু অতিকায়ের মাথাহীন দেহটা যখন লুটিয়ে পড়ল তখন যেন আবার হুশে ফিরল নীলকমল।
এই এখনও যেমন ঘুম আসছে না নীলকমলের কোথাও যেন কিছু খারাপের একটা আভাস পাচ্ছে। যবে থেকে এই ক্রুরবুদ্ধি আর তার দলবলেরা এসে জুটেছে তবে থেকেই নীলকমলের মন কু ডাকছে, তবে আজকের রাতে যেন বিশেষ কিছু একটা ঘটবে বলে মনে হচ্ছে।
রাজবাড়ির চারিদিক শুনশান যেন শশ্মানের নীরবতা, একটা কুকুরও ডাকছে না কোথাও। রাজার শোওয়ার ঘরে একটা হালকা আলো জ্বলছে, রাজার অনিদ্রা রোগ আজ আবার মাথা চাড়া দিয়েছে, ঘরে সুগন্ধী তেল আর জড়িবুটির খোশবাই কিন্তু রাজার ঘুম আসছে না। রাজবাড়ির বাইরে কোথা থেকে যেন একটা কালো শকুন এসে পাক খেতে লাগল, তিন চার পাক খেয়ে শকুনটা রাজবাড়ির ছাদের প্রাচীরের উপর বসল, আর সঙ্গে সঙ্গে একটা অদ্ভুত ঠান্ডা হাওয়া যেন রাজবাড়ির উপর চাদর চড়িয়ে দিল।
চুপ করে শুয়ে থেকে ঘুম আনার চেষ্টা করেও নীলকমলের কিছুতেই ঘুম আসতে চাইছে না। নিস্তব্ধ রাত্রিতে কোথা থেকে একটা গুণগুণ আওয়াজ যেন নীলকমলের কানে আসছে। নীলকমল এক ঝটকায় শরীরটাকে সোজা করে হাতে তার প্রিয় ছোট্ট ছুরিটা চেপে ধরল। বন্ধ ঘরের মধ্যেও কোন এক অজানা কারণে প্রদীপের শিখা কেঁপে উঠল। নীলকমল যেন আবার শুনতে পেল কে যেন বলছে, “বিপদ, বিপদ”। দরজা খুলে নীলকমল অন্ধকারের মধ্যে বেরোল। অন্ধকারে হাঁটাচলা করা নীলকমলের বহুদিনের অভ্যাস, সে অনায়াসে নিঃশব্দে লালকমলের দরজার কাছে চলে গেল, দেখল লালকমলের ঘরের দরজা খোলা, অজানা আশঙ্কায় নীলকমলের স্নায়ু মুহুর্তের ভগ্নাংশের জন্য কেঁপে উঠল। নিকষ অন্ধকারে নীলকমল অনুভব করল লালকমলের ঘরে অন্য কেউ আছে। ছুরিটাকে খাপ থেকে বার করে আলগোছে হাতের মধ্যে নিয়ে নিশব্দে এগোতে লাগল নীলকমল। হঠাৎ সমস্ত চরাচরকে আলোকিত করে বিদ্যুৎ চমকে উঠল আর সেই ক্ষণিকের আলোতে এক অপার্থিব দৃশ্য দেখে নীলকমল মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল। এক বিশালদেহী বীভৎস দর্শন নারী ঘুমন্ত লালকমলকে একহাতে পুতুলের মত তুলে নিয়েছে। অন্ধকার ফিরে আসতেই নীলকমল বুঝতে পারল তাকেও সেই বিশালদেহী তুলে নিয়েছে, নীলকমলের নড়ার ক্ষমতা নেই।
নীলকমল দেখতে পেল তাদের দুজনকে নিয়ে সেই বিশাল নারী রাজবাড়ির ছাদের উপর উঠল। নীলকমলের নড়ার ক্ষমতা না থাকলেও সব দেখতে পাচ্ছিল। ছাদের উপর তার মায়ের দেশের সব বিকৃত দেখতে লোকজন, সবাই মিলে চিৎকার করছে। আর একদিকে বিকট রাজামশাই আর রাণীকে ধরে রেখেছে। রাজামশাই আর রাণীমা যেন মন্ত্রমুগ্ধ পুতুলের মত হয়ে আছে, নীলকমল বুঝতে পারল তাদের উপর মায়া করা হয়েছে।
হঠাৎ একটা গলা শুনে নীলকমলের চিন্তা ভঙ্গ হল, “নীলকমলের উপর তোমার মায়া কাজ করেনি রুরু”, ক্রুরবুদ্ধির গলা। কথাটা শোনামাত্র সেই নারী নীলকমলকে তুলে ধরল তার মুখের সামনে আর ঠিক সেই সময় আকাশ চিরে আর একটা বাজ পড়ল। সেই আলোতে নীলকমল চমকে উঠে বুঝল এই নারী তার মা, মায়াবিনী, রাক্ষসী। চোখের চাউনির মধ্যে এক অদ্ভুত অক্ষম হতাশা আর রাগ দেখতে পেল নীলকমল। এরমধ্যেই বিকট চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করল, “রাজা রানীর কি হবে?”, আর একদল তারস্বরে চেচিয়ে বলল, “আমরা কি করব?”। প্রাচীরের ধারে বসা শকুনটা এক অলুক্ষুণে শব্দ করে ডেকে উঠল। ধৈর্য্যচ্যূতি হল রাক্ষসীর, আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বলে উঠল, “আমি এখানেই থাকব, যার যার দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছা হয়, যা!”। একথা বলতেই আবার হৈ চৈ হুলুস্থুল বেঁধে গেল, আবার এক হুঙ্কারে রাক্ষসী বলল, “রাজা রাণী ওভাবেই থাক”।
নীলকমলের হাত রাক্ষসীর মুঠোর বাইরে, নীলকমলের হাতে তার প্রিয় ছুরি, কিন্তু কি যেন এক মায়ার বশে তার হাত পা অবশ হয়ে আছে, লালকমল অচেতন। হঠাৎ কি একটা দেখে যেন প্রাচীরের গায়ে বসা শকুনটা একটু অস্থির হয়ে উঠল, আবার একটা দমকা বাতাস বয়ে গেল সবার মাথার উপর দিয়ে, সবাই কিছু একটার আশায় আকাশের দিকে চেয়ে রইল, যখন সবাই এরকম ভাবতে বসেছে, নেহাতই একটু ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে, ঠিক তখনই অতিকায় এক পাখি নেমে এল ক্রুরবুদ্ধির মাথার উপর দিয়ে। তার পাখার ঝাপটায় ক্রুরবুদ্ধি আর ল্যাজের বাড়িতে বেশ কিছু রাক্ষস পড়ে গেল। আচম্বিতে এই পাখির এসে পড়ায় খানিকক্ষণের জন্য রাক্ষসীর মায়ার বাধন যেন আলগা হয়ে গেছিল, নীলকমল টের পেল তার শরীরে সার ফিরে এসেছে। কয়েক মুহূর্তের অবকাশ, সূচীতীক্ষ্ণ ছুরির ফলা গেঁথে দিল রাক্ষসীর হাতে, ঝটকা দিয়ে হাতের আঙ্গুল সামান্য শিথিল করতেই নীলকমল এক লাফে বেরিয়ে এল রাক্ষসীর হাতের মুঠো থেকে।
অতিকায় পাখিটার ডানার ঝাপটায় সবাই একটু বেসামাল হয়ে পড়েছিল, একটু সামলে নিয়েই দুর্ধর্ষ পাখির দিকে এক মায়াবী আগুনের গোলা ছুড়ে মারে, পাখিটা এক মজার ভঙ্গীতে আগুনের গোলাটাকে গিলে ফেলে তারপর ল্যাজ তুলে তুবড়ির মত পেছন দিক দিয়ে গোলাটা বার করে দিয়ে, অদ্ভুত কায়দায় দুর্ধর্ষকে নিবৃত করে, জলদগম্ভীর স্বরে মানুষের ভাষায় বলে ওঠে, “আমি পৃথিবীর আদিম পক্ষীকুলের একজন, আমি ব্যাঙ্গমা”। এক অর্বাচীন রাক্ষস আবার কিছু একটা ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করতে গেলে বিশাল পাখি খানিকটা বিরক্ত হয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে একটা ডানার ভঙ্গী করে যার ফলে তার হাতের অস্ত্র একটা দড়িতে পরিণত হয়ে তাকেই বেঁধে মাটিতে ফেলে দেয়। পাখি নিজের মনে বলে ওঠে, “একটু শান্তিতে কথা বলার উপায় নেই?”। বীভৎস, দুর্ধর্ষ একটু হতচকিত হয়ে যায়, ক্রুরবুদ্ধির দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে সবাই মিলে আক্রমণ করবে কিনা। রাক্ষসী রানী সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেই নীলকমলকে খোজার চেষ্টা করে আবার সামনে এরকম একটা পাখি এসে পড়ায় বুঝতে পারেনা প্রথমে কি করবে। ব্যাঙ্গমা সবাইকে আশ্বস্ত করার ভঙ্গীতে তার ডানা তুলে থামায়। ক্রুরবুদ্ধি এগিয়ে এসে বলে, “কি করতে এসেছ? কি চাই তোমার?” ব্যাঙ্গমা চোখ ঘুরিয়ে রাক্ষসী রানীর হাতে অচেতন লালকমলকে একবার দেখে নেয়, তারপর একটু উদাস হয়ে গুণগুণ করে, “ কিচ্ছু চাইনি আমি আজীবন ভালবাসা ছাড়া... এরকম গান শুনেছ তোমরা? ভবিষ্যতে হবে...”। বিকট, পাখির এই অদ্ভুত ব্যবহারে ক্ষেপে যায়- “মশকরা হচ্ছে নাকি?”। রাক্ষসী একবার নীলকমলকে খুঁজে নিয়ে পাখির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়- “কি চাই তোমার?”। -“নীলকমল লালকমলকে নিয়ে যাব”। রাক্ষসী একটু হেসে উঠল, নীলকমলকে দেখা যাচ্ছেনা। ক্রুরবুদ্ধি জিজ্ঞাসা করল, “ব্যাপারটা সহজ বলে মনে হচ্ছে নাকি পক্ষীরাজ?” ছকিতে ঘাড় ঘোরালো ব্যাঙ্গমা শরীরী ভাষায় একটু যেন ক্ষিপ্রতা, “সহজে তো আমি কোনোদিন ব্যাঙ্গমীর চুম্বনও নেওয়ার চেষ্টা করিনি আর...”, কথা শেষ হওয়ার আগেই আর একঁটা দমকা হাওয়া সবাইকে চমকে দিল আর প্রায় ব্যাঙ্গমার মত আকারের আর একটা পাখি ছাদে এসে নামল আর নেমেই বলল, “বলেছি না ভবিষ্যত ভ্রমণ করবে না, বড় বাজে কথা বল তুমি আজকাল”। বিকট দুজনের কান্ড দেখে অস্থির হয়ে গিয়ে নিজের হাতের অস্ত্রটা ছুড়ে মারল ব্যাঙ্গমীকে লক্ষ্য করে, ব্যাঙ্গমা অক্লেশে ব্যাঙ্গমীকে হ্যাঁচকা টানে প্রায় নিজের কোলে নিয়ে এসে ফেলল এবং প্রায় মুহুর্তের অবকাশে তার ডানার একটা সপাট ঝাপট পড়ল বিকটের পেট আর বুকের মাঝামাঝি, বিকট ছিটকে পড়ল। ক্রুরবুদ্ধি তার অস্ত্র বার করে চিৎকার করে বলল, “রুরু তুমি ভিতরে যাও। আক্রমণ কর!” রাক্ষসী হাতের রক্তের দিকে একঝলক তাকিয়ে নীলকমলকে আর একবার খুঁজে নিল আর বলল, “নীলকমল পালিয়েছে!” ক্রুরবুদ্ধি একথা শুনে কিছুক্ষনের জন্য একটু অন্যমনস্ক হল আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীকে শুন্যে লোফার মত করে ছুঁড়ে দিল আর তা পা এসে লাগল ক্রুরবুদ্ধির বুকে, মাটিতে পা রাখতেই ব্যাঙ্গমা বলে উঠল- “তুমি আসতে গেলে কেন? আমি একাই সামলে নিতাম!” ব্যাঙ্গমী ব্যাঙ্গমার পিঠের উপর দিয়ে ডিগবাজি খেয়ে আক্রমণ করতে আসা দুই রাক্ষসকে ধরাশায়ী করে বলল, “খুব করতে তুমি, খালি মুখে বড় বড় কথা। নীলকমলকে যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সেটা শুনেছ?” ব্যাঙ্গমা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল রাক্ষসী রানী চলে যাচ্ছে, লাফ দিয়ে সে রাক্ষসীকে ধরতে গেল আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বিকটও ব্যাঙ্গমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, ব্যাঙ্গমা বিকটকে সুদ্ধু রাক্ষসী রানীর হাত চেপে ধরে একটা টান মারে, রাক্ষসী একটু বেসামাল হলে ব্যাঙ্গমা বিকটকে ধরে ফেলে, বিকটকে আছাড় মারতে যাবে এমন সময় ব্যাঙ্গমা নীলকমলকে দেখতে পায়। বিকটকে ছুঁড়ে ফেলে ব্যাঙ্গমা একটু অসাবধান হয়, নীলকমলকে ইশারায় ব্যাঙ্গমা তার পিঠে চড়ে বসতে বলে আর ঠিক সেইসময় রাক্ষসী ব্যাঙ্গমার দৃষ্টি অনুসরণ করে নীলকমলকে দেখে ফেলে আর সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড ক্ষিপ্রতায় রাক্ষসী ব্যাঙ্গমার বুকের নীচে এক তীক্ষ্ণ শূল বিধিয়ে দেয় নীলচে গরম রক্ত ছিটকে পড়ে মাটিতে তারসাথে ব্যাঙ্গমার আর্ত চিৎকার। ব্যাঙ্গমী বাকি রাক্ষসদের সাথে লড়াই করছিল সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল রাক্ষসীর শুল ব্যাঙ্গমার বুকে বিঁধে আছে, পলকের ব্যবধানে ব্যাঙ্গমীর চোখমুখ পালটে গেল প্রবল চিৎকারের সাথে তার মুখ থেকে কালছে বেগুনী রঙ্গের আগুন বেরিয়ে এল, সামনের রাক্ষসরা প্রায় ছাই হয়ে গেল, দুর্ধর্ষ আর ক্রুরবুদ্ধি দিশেহারা হয়ে গেল, ব্যাঙ্গমা সুযোগ বুঝে রাক্ষসীর অন্য হাতে এক ঝতকা মারল আর তাতে লালকমলের দেহটা রাক্ষসীর হাত থেকে ছিটকে গেল। ব্যাঙ্গমী আর একবার বেগুনী আগুনের ঝলকে সবার চোখে ধাঁ ধাঁ লাগিয়ে দিল আর তারমধ্যে ব্যাঙ্গমা লালকমলকে একহাতে ধরে ল্যাজটাকে বারিয়ে দিয়ে নীলকমলকে তুলে নিয়ে উড়ান দিল। ব্যাঙ্গমী ওড়ার আগে এক সপাট থাপ্পড় মেরেদিল রাক্ষসী রানীকে। রাক্ষসী ব্যর্থ আক্রোশে নীলকমলের উদ্দেশ্যে এক বাঁধন মন্ত্র উচ্চারণ করে বসল। মন্ত্রের তরঙ্গ নীলকমলকে ছোঁয়া মাত্রই ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী আকাশের মধ্যে এক অদৃশ্য দরজার ওপারে মিলিয়ে গেল।

সায়ক চক্রবর্তী।

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...