Monday, April 16, 2018

লেগে থাকা দুঃখুরা ও গঙ্গারাম

গঙ্গারাম কে, কেন, কি বেত্তান্ত এসব নিয়ে বলতে বসলে আর আমার চেনা কিছু মানুষকে দু ছিলিম গাঁজা টানিয়ে দিতে পারলে তারা বই টই লিখে ফেলতে পারবে, আমার অতটা এলেম নেই। 
তবু বলতেই হয়, গঙ্গারাম আমার দুঃখ হলেই আসে। তেমন তেমন দুঃখ হতে হবে... কানের পিছনটা নীল হয়ে যেতে হবে, হাতের তালুটা শুকিয়ে যেতে হবে। তবে দুঃখুর সময় কি হয় আমি নিজেও ঠিক মেপে দেখিনি আর কানের পিছনটাতো দেখাই যায়না।
এবার দুঃখের কথা বলি, দুঃখ অনেক প্রকার আমার তিন রকম আছে, বড় দুঃখু, মেজো দুঃখু আর লেগে থাকা দুঃখু। লেগে থাকা দুঃখুরা আমার সাথে ছোট থেকে আছে। সেই যখন আমি হনুমান সাজতাম আর কাপড়ের ল্যাজটা নেতিয়ে থাকত, তারপর ভাবতাম একদিন ঠিক সকাল বেলা উঠে আমায় আর চশমা পড়তে হবে না, নিশ্চয়ই একবার অঙ্ক পরীক্ষার আগের দিন স্বপ্নে অঙ্কগুলো পেয়ে যাবো... এসব হয়নি কখনও, আর দুঃখ গুলোও পাল্টাতে পাল্টাতে গেছে।
এখনকার দুঃখুগুলো নেহাত মন্দ না, কোনো সময়ই ট্রেন ফাঁকা পাওয়া যায়না, হঠাৎ একদিন দেবগুরু জানালেন তিনি বক্রী হয়েছেন, পায়খানায় বসলে আজকাল দুপুরে কি খাবো চিন্তা করি এসব কি কম দুঃখের! তারপর বছর খানেকের বেশিই হবে বোধহয় স্বপ্ন দেখিনা, দেখলেও মনে রাখতে পারিনা।
লেখাটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বোধহয়, দুঃখু জিনিসটাই এরকম লেবড়ে দেয়।
এটা আসলে একপ্রকার স্বীকারোক্তি, গঙ্গারাম আসলে আমার পুরোনো কথা মনে পড়ে যায়। গঙ্গারাম চরম দুঃখের সময় এসে কিছুই বলেন না, ঠায় তাকিয়ে থাকে আমিও তাকিয়ে থাকি তারপর আই কন্ট্যাক্ট টা কেটে গেলেই চলে যায়। তবে তাতে আমার কিছু উপকারই হয়।
গঙ্গারামকে আমি ধার করেছিলাম, তা প্রায় একপ্রকার আশীর্বাদও বলা যায়। সে গল্পটা হল, তারাপদ রায় আমার গুরু (মনে মনে), ওঁর একটা চরিত্র ছিল গঙ্গারাম, আমি তাকে নিজের মত করে নিলাম।
গঙ্গারাম যে এসেছিলেন তার কারণ হল, গঙ্গারামের সাথে কথা হওয়ার আগে একটা ভাব তৈরি হওয়া দরকার। তেমন তেমন ভাব তৈরী না হলে কথা জমবে কি করে?
দেখা যাক কি বলে...
পু: একটা গপ্পো প্রতিযোগিতায় গপ্পো দেবো, একটা গপ্পের আউটলাইন লিখে দিতে হবে, গপ্পো গুলো রোজ এসে উকি মেরে যাচ্ছে, আর আমি আজে-বাজে-কাজে মন দিয়ে আছি পয়সা পাচ্ছি বলে, এ কি কম দুঃখু! উনি না এসে যাবেন কোথায়??
পুঃ পুঃ ট্রেন ফাঁকা থাকলে কিরকম লেখা যায় দেখেছেন...খ্যাকস.

No comments:

Post a Comment

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...