Tuesday, April 17, 2018

দুঃখু পার্ট 2

কাল কেন দুঃখু করেছিলাম জানেন? লিখতে পারছিনা বলে। আমাকে একজন বলেছিলেন, 'যে লিখবে তাকে এমন হতে হবে যে শুধু গাঁ.. ইয়ে পেছনটা ঠেকাবে আর তরতরিয়ে লিখে চলবে'। 
কথাটা হয়ত উচিৎ কিন্তুক তার যদি তখন বাহ্য আসে? কিম্বা ধরুন লেখা আর পেটে ছুঁচোয় ডন একসাথে মারতে লাগলো তখন? প্রথমটা আমার বহুবার হয়েছে, কমোডে বসলুম আর ব্যাস বাবু এসে দাঁড়ালেন। উনি আবার দাঁড়াতে পারেন না, ঐ ভাবেই আর্কিমিডিসের মত ছুটলাম।
লেখা তো আমার বাপের চাকর নয় যে ডাক দিলেই এসে হাজির হবে। তেমন হলে কি আর কবি বজরায় করে ঘুরে বেড়াতেন? শান্তি নিকেতনে জমি কিনতেন? মানে হল ঠেকালেই হলনা, কোথায় ঠেকাচ্ছি সেটাও বড় কথা।
এখনকার সমস্যাটা অন্য দাদারা, সত্যি বলছি মনে কিছু করবেন না ট্রেনে উঠে বসার জায়গা যদি পাই, না পেলেও দেখি চার রকম গল্পরা তাদের ছানা পোনা, ভাই বোন, বেয়াই বোনাই, জগাই মাধাই, সবাইকে নিয়ে রোজ দাঁত কেলিয়ে নালাসোপাড়া টু দাদর, আর দাদর টু নালাসোপাড়া করছে। আমি শালা ক্যাপসিকামের দর ভেবে আধ পাগলা আর লেখারা এসে কনুইতে সুড়সুড়ি দিচ্ছে কিরকম লাগে ভাবুন।
সবে জানেন, গ্রহরাজ একটু ঠিক হলো, রাহু তো আমার ভালোই, কেতুর সমস্যাটা আমি সামলে নি, ভাবলাম একটু বোধহয় খুড়ো মুখ নামিয়ে দেখলেন। ওমা এমন হল যে অমন স্বাত্তিক বেস্পতি বেঁকে বসলেন। জীবনে ভাল কি কিছু হবেনা!
ট্রেন থেকে নেমে গেলে আবার তেনারা উধাও, কি জ্বালা।
আরো কি কি যেন লিখবো ভেবেছিলাম বাড়ি এসে গেলাম।
*চার রকম গল্পটা পরে লিখব খন।
** একটা লিস্টি করে রেখেছি সেটাও লিখতে হবে।

No comments:

Post a Comment

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...