প্রসঙ্গ-১
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা ওয়ান লাইনার স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে আমি সব সত্যি বললে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পরে ভেবে দেখলাম বিস্ফোরণ একটা হবেই তবে খবর হবেনা। বিস্ফোরণ-এ যদি খবর হয় তো মজার কিন্তু যদি আমারই হাতে ফোস্কা পড়ে তাহলে আমি গা... হ্যাঁ যা ভাবছেন ঠিক তাই, তবে সুখের কথা আমি ততটা বোকা নই যে আপনি আমায় বোকা বলে চিহ্নিত করতে পারবেন, আবার এখানে একটা মজা আছে যদি আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তার অহংকারে আমাকে বোকা বলে ঠাউরে নেন তাহলে অচিরাৎ এক মোক্ষম ক্ষণে আপনার সে ভ্রম ভেঙে যাবে। আপনি অহংকারী তাই স্বীকার করবেন না হয়ত, তবে বুঝবেন নিশ্চয়ই যে আপনি বুদ্ধিমানও নন আর বিচক্ষণও নন। এরকম সময় আমার হেবী মজা হয়।
প্রসঙ্গ-২
‘রূপ দেখতে তরাস লাগে’- টা লিখতে হবে বলে রোজ সকাল বিকাল একটা উচাটন হচ্ছে, কিন্তু যে কোন লেখা লিখতে হলে একটা সাধন লাগে, সহবাস লাগে, তার সাথে একলা হয়ে যেতে হয়, সে সময়টা পাচ্ছিনা। তাছাড়া সময়ের কিছু ছ্যাঁচড়ামি আছে, সেসব কাটাবার মত পুরুষ এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। তবে লিখে ফেলবই।
৩ নম্বরঃ
দেখতে বসলে, লিস্টি মেলালে অনেক লম্বা ফর্দ আছে। অজুহাত আমার বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির থেকেও লম্বা। এতদিনে লিখে ফেলা উচিৎ ছিল পারিনি, ঐ সেই মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পের মত, আমার নিজের চিনি খাওয়ার অভ্যাস না কমালে অন্যকে বলি কি করে!
এলো মেলোঃ
বাজে কথা আমি যত শিখেছি, তার সিংহ ভাগ বন্ধুদের থেকে, আমি সত্যি বলছি যখন আমি প্রথম জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাই তখন আমি কিচ্ছুটি বুঝতাম না। ক্লাস ফাইভের আগেই এক সন্ধ্যায় খেলার পর সেসব গল্প শুনে বর্ষা রাতের ভুতের গল্পের মত রোমাঞ্চ জেগেছিল, শুধু সামান্য একটু দেহগত পার্থক্য ছিল এই রোমাঞ্চে। তা যাইহোক আমি যখন ফাইভে ফুলের পরাগ মিলন পড়ছি, কিছুই বুঝছিনা সেই সময় একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে দুই-এ দুই-এ চার হয়ে গেল, কে যেন কানে কানে বলে দিয়ে গেল। এরকম আমার অনেক হয়েছে। আমি কত খিস্তির গুঢ় অর্থ নিজে একা একাই বুঝতে পেরে, হাত না পৌঁছানো পিঠে ইয়া চাপড়ে দিয়েছি।
মোদ্দা কথাঃ
দেখুন অঙ্ক পারলেই যে সবাই অঙ্কে ভালো হয় তা নয়, সেরকম অঙ্কে আপনি ভালো হোন বা না হোন সময় তো আপনার জন্য একটা অঙ্ক কষে রেখেছে। এবার তিন রকম গল্প আছে, এক যদি আপনি অঙ্কটা না বোঝেন তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেল যা হচ্ছে হবে। দুই, যদি আপনি মিলল কিনা তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন তবে দেখতে হবে কবে কোথায় কখন আপনি স্টেপ জাম্প করেছেন বা গোঁজামিল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেক্ষেত্রে আবার নতুন পাতা নাও। তিন নম্বরটা জটিল, যদি আপনি কোনভাবে উত্তরটা দেখতে পেয়ে গিয়ে থাকেন, সে অবশ্য প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। এখানে অবশ্য অসম্ভব শব্দের মানে হচ্ছে = অতি সম্ভব। উত্তর পেতে গেলে প্রথমে আপনাকে অঙ্কের আঁতুড় ঘরে ঢুঁ মারতে, সেখানে সংখ্যা, রাশি, নিয়ম-কানুন এদের সাথে বসে একপ্রস্থ আড্ডা মারতে হবে, তারপর তাদের সাথে চলতে চলতে দেখবেন একদিন উত্তরটা আপনার হাতে লিখে দিয়ে কে যেন ঘষে দিয়ে গেছে। কিন্তু ততদিনে আর আপনার অঙ্কে মন নেই। এ এক গেছোদাদাকে ধরার মত প্যাখনা।
পুনঃ
এই সব ব্যাপার নিয়ে ভাববেন না, আবার ভেবে দেখতেও পারেন, কোমরের নিচ থেকে একটা সোনালী রঙের সাপ ক্রমশ মেরুদন্ড বেয়ে উঠে চলেছে, বুকের কাছে এসে একটু থমকে দাঁড়ায় কোনো কোন দিন, তারপর মশলার ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে, সোজা মাথায় ফনা বিস্তার করে, কম মাপ হলে আবার ঘাড়ের কাছ থেকে একদিকে বিস্তার করে তখন একটা ঝামেলা মতন লাগে। বুঝতে পারলে ভালো না বুঝলে এই রকম চলুক...
শেষ কথাঃ
আমার অন্য কারোর জন্য লিখতে ইচ্ছা করছে না, পিরিয়ড।
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা ওয়ান লাইনার স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে আমি সব সত্যি বললে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পরে ভেবে দেখলাম বিস্ফোরণ একটা হবেই তবে খবর হবেনা। বিস্ফোরণ-এ যদি খবর হয় তো মজার কিন্তু যদি আমারই হাতে ফোস্কা পড়ে তাহলে আমি গা... হ্যাঁ যা ভাবছেন ঠিক তাই, তবে সুখের কথা আমি ততটা বোকা নই যে আপনি আমায় বোকা বলে চিহ্নিত করতে পারবেন, আবার এখানে একটা মজা আছে যদি আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তার অহংকারে আমাকে বোকা বলে ঠাউরে নেন তাহলে অচিরাৎ এক মোক্ষম ক্ষণে আপনার সে ভ্রম ভেঙে যাবে। আপনি অহংকারী তাই স্বীকার করবেন না হয়ত, তবে বুঝবেন নিশ্চয়ই যে আপনি বুদ্ধিমানও নন আর বিচক্ষণও নন। এরকম সময় আমার হেবী মজা হয়।
প্রসঙ্গ-২
‘রূপ দেখতে তরাস লাগে’- টা লিখতে হবে বলে রোজ সকাল বিকাল একটা উচাটন হচ্ছে, কিন্তু যে কোন লেখা লিখতে হলে একটা সাধন লাগে, সহবাস লাগে, তার সাথে একলা হয়ে যেতে হয়, সে সময়টা পাচ্ছিনা। তাছাড়া সময়ের কিছু ছ্যাঁচড়ামি আছে, সেসব কাটাবার মত পুরুষ এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। তবে লিখে ফেলবই।
৩ নম্বরঃ
দেখতে বসলে, লিস্টি মেলালে অনেক লম্বা ফর্দ আছে। অজুহাত আমার বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির থেকেও লম্বা। এতদিনে লিখে ফেলা উচিৎ ছিল পারিনি, ঐ সেই মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পের মত, আমার নিজের চিনি খাওয়ার অভ্যাস না কমালে অন্যকে বলি কি করে!
এলো মেলোঃ
বাজে কথা আমি যত শিখেছি, তার সিংহ ভাগ বন্ধুদের থেকে, আমি সত্যি বলছি যখন আমি প্রথম জ্ঞান বৃক্ষের ফল খাই তখন আমি কিচ্ছুটি বুঝতাম না। ক্লাস ফাইভের আগেই এক সন্ধ্যায় খেলার পর সেসব গল্প শুনে বর্ষা রাতের ভুতের গল্পের মত রোমাঞ্চ জেগেছিল, শুধু সামান্য একটু দেহগত পার্থক্য ছিল এই রোমাঞ্চে। তা যাইহোক আমি যখন ফাইভে ফুলের পরাগ মিলন পড়ছি, কিছুই বুঝছিনা সেই সময় একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে দুই-এ দুই-এ চার হয়ে গেল, কে যেন কানে কানে বলে দিয়ে গেল। এরকম আমার অনেক হয়েছে। আমি কত খিস্তির গুঢ় অর্থ নিজে একা একাই বুঝতে পেরে, হাত না পৌঁছানো পিঠে ইয়া চাপড়ে দিয়েছি।
মোদ্দা কথাঃ
দেখুন অঙ্ক পারলেই যে সবাই অঙ্কে ভালো হয় তা নয়, সেরকম অঙ্কে আপনি ভালো হোন বা না হোন সময় তো আপনার জন্য একটা অঙ্ক কষে রেখেছে। এবার তিন রকম গল্প আছে, এক যদি আপনি অঙ্কটা না বোঝেন তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেল যা হচ্ছে হবে। দুই, যদি আপনি মিলল কিনা তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন তবে দেখতে হবে কবে কোথায় কখন আপনি স্টেপ জাম্প করেছেন বা গোঁজামিল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেক্ষেত্রে আবার নতুন পাতা নাও। তিন নম্বরটা জটিল, যদি আপনি কোনভাবে উত্তরটা দেখতে পেয়ে গিয়ে থাকেন, সে অবশ্য প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। এখানে অবশ্য অসম্ভব শব্দের মানে হচ্ছে = অতি সম্ভব। উত্তর পেতে গেলে প্রথমে আপনাকে অঙ্কের আঁতুড় ঘরে ঢুঁ মারতে, সেখানে সংখ্যা, রাশি, নিয়ম-কানুন এদের সাথে বসে একপ্রস্থ আড্ডা মারতে হবে, তারপর তাদের সাথে চলতে চলতে দেখবেন একদিন উত্তরটা আপনার হাতে লিখে দিয়ে কে যেন ঘষে দিয়ে গেছে। কিন্তু ততদিনে আর আপনার অঙ্কে মন নেই। এ এক গেছোদাদাকে ধরার মত প্যাখনা।
পুনঃ
এই সব ব্যাপার নিয়ে ভাববেন না, আবার ভেবে দেখতেও পারেন, কোমরের নিচ থেকে একটা সোনালী রঙের সাপ ক্রমশ মেরুদন্ড বেয়ে উঠে চলেছে, বুকের কাছে এসে একটু থমকে দাঁড়ায় কোনো কোন দিন, তারপর মশলার ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে, সোজা মাথায় ফনা বিস্তার করে, কম মাপ হলে আবার ঘাড়ের কাছ থেকে একদিকে বিস্তার করে তখন একটা ঝামেলা মতন লাগে। বুঝতে পারলে ভালো না বুঝলে এই রকম চলুক...
শেষ কথাঃ
আমার অন্য কারোর জন্য লিখতে ইচ্ছা করছে না, পিরিয়ড।
No comments:
Post a Comment