আমার কোনো দেশের বাড়ি নেই, ছিলোনা কোনোকালে।
আমার কোনো দেশভাগের স্মৃতি নেই,
আমার ছেলেবেলার সাথে কোনো কাঁটাতারের সম্পর্ক নেই।
আমার কোনো বুড়ি পিসি ছিলনা,
পোষা খরগোশ, কুলের কাটায় ছড়ে যাওয়ার দাগ এসব কিচ্ছু কোনোদিন ছিলনা নেই...
এরকম করে আমার একটা কবিতার প্রথম দিকের কয়েকটা লাইন ছিল। সে কবিতাটা কোনোদিন কোথাও পোস্ট করিনি সম্ভবত, আমার অনেক এলোমেলো খাতা ডাইরির মধ্যে কোথাও আছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটা ইন্টারভিউতে পড়েছিলাম, উনি সত্যজিত রায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'আপনি লিখলেন বা ছবি আঁকলেন না কেন?' সত্যজিতের উত্তর ছিল খানিকটা আগুন্তুক ছবির ডায়লগের মত, 'আমি চাইলেও ওরকম বাইসন একটা পারবোনা, আর রবীন্দ্রনাথ যা লিখে গেছেন, তারপর আর কি লিখব!'-যতটা মনে ছিল সেরকম লিখলাম, মূল বক্তব্যটা এরকমই ছিল।
আমার উপরের কবিতাটা আমি তারাপদ রায়ের একটা কবিতা পড়ে উত্তেজিত হয়ে লিখেছিলাম, আমি সুনীলের একটা কবিতা পরে উত্তেজিত হয়ে বোধহয় আমার প্রথম কবিতাটা লিখেছিলাম। আমি যখন যা লিখেছি এভাবেই লিখেছি বেশিরভাগ। আমি শুনে বা পড়ে যতটা অনুপ্রাণিত হই, ততটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নেই।
আজ অফিসে সেকম কোনো কাজ নেই, বনের মোষও অফিস চত্ত্বরে আসেনা, তাই ভাবলাম একটু পড়াশুনা করি অনেকদিন কিছু পড়িনা, তা আর কিছু না থাকুন pdf তো প্রচুর। আমি সুনীলের দুটো উপন্যাস অনেক আগে পড়েছিলাম, 'সন্যাসিনী ও এক কিশোর' আর দ্বিতীয়টার নাম মনে গল্পের নায়কের নাম ছিল রূহ। ঐ বইদুটো কোথাও পাইনা। তা খুঁজতে খুঁজতে একটা ইন্টারভিউ পেলাম, তাতে হেডিং হচ্ছে "লিখতে হয়েছে স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য"। কি করবো এই কথা গুলো আমায় খুব পীড়ন করে, আমি তো পড়েই উদ্ধার করতে পারলাম না।
এরপর আমি এটা সেটা দেখতে দেখতে ঋতুপর্ণ ঘোষের 'ফার্স্ট পার্সন' পেলাম, লোকটাকে নিয়ে আমি আমি বাঙালীর মত উত্তেজিত নই, ২০১৩র পর আর 'সানগ্লাস' বেরোয়নি বলে ওঁর কোনো সিনেমায় আমি রিভিস্ট করিনি, ইচ্ছা করেনি। কিন্তু একটা লেখা সেখানে না বছরের একটা বাচ্চা ছেলে কি করে লোকনাথ ব্রহ্মচারী নামটার সাথে পরিচিত হল তার একটা গপ্পো আছে, কি বলবো রাগও হয় কাউকে বোঝাতে পারিনা।
আমার কোনো দেশভাগের স্মৃতি নেই,
আমার ছেলেবেলার সাথে কোনো কাঁটাতারের সম্পর্ক নেই।
আমার কোনো বুড়ি পিসি ছিলনা,
পোষা খরগোশ, কুলের কাটায় ছড়ে যাওয়ার দাগ এসব কিচ্ছু কোনোদিন ছিলনা নেই...
এরকম করে আমার একটা কবিতার প্রথম দিকের কয়েকটা লাইন ছিল। সে কবিতাটা কোনোদিন কোথাও পোস্ট করিনি সম্ভবত, আমার অনেক এলোমেলো খাতা ডাইরির মধ্যে কোথাও আছে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটা ইন্টারভিউতে পড়েছিলাম, উনি সত্যজিত রায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'আপনি লিখলেন বা ছবি আঁকলেন না কেন?' সত্যজিতের উত্তর ছিল খানিকটা আগুন্তুক ছবির ডায়লগের মত, 'আমি চাইলেও ওরকম বাইসন একটা পারবোনা, আর রবীন্দ্রনাথ যা লিখে গেছেন, তারপর আর কি লিখব!'-যতটা মনে ছিল সেরকম লিখলাম, মূল বক্তব্যটা এরকমই ছিল।
আমার উপরের কবিতাটা আমি তারাপদ রায়ের একটা কবিতা পড়ে উত্তেজিত হয়ে লিখেছিলাম, আমি সুনীলের একটা কবিতা পরে উত্তেজিত হয়ে বোধহয় আমার প্রথম কবিতাটা লিখেছিলাম। আমি যখন যা লিখেছি এভাবেই লিখেছি বেশিরভাগ। আমি শুনে বা পড়ে যতটা অনুপ্রাণিত হই, ততটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নেই।
আজ অফিসে সেকম কোনো কাজ নেই, বনের মোষও অফিস চত্ত্বরে আসেনা, তাই ভাবলাম একটু পড়াশুনা করি অনেকদিন কিছু পড়িনা, তা আর কিছু না থাকুন pdf তো প্রচুর। আমি সুনীলের দুটো উপন্যাস অনেক আগে পড়েছিলাম, 'সন্যাসিনী ও এক কিশোর' আর দ্বিতীয়টার নাম মনে গল্পের নায়কের নাম ছিল রূহ। ঐ বইদুটো কোথাও পাইনা। তা খুঁজতে খুঁজতে একটা ইন্টারভিউ পেলাম, তাতে হেডিং হচ্ছে "লিখতে হয়েছে স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য"। কি করবো এই কথা গুলো আমায় খুব পীড়ন করে, আমি তো পড়েই উদ্ধার করতে পারলাম না।
এরপর আমি এটা সেটা দেখতে দেখতে ঋতুপর্ণ ঘোষের 'ফার্স্ট পার্সন' পেলাম, লোকটাকে নিয়ে আমি আমি বাঙালীর মত উত্তেজিত নই, ২০১৩র পর আর 'সানগ্লাস' বেরোয়নি বলে ওঁর কোনো সিনেমায় আমি রিভিস্ট করিনি, ইচ্ছা করেনি। কিন্তু একটা লেখা সেখানে না বছরের একটা বাচ্চা ছেলে কি করে লোকনাথ ব্রহ্মচারী নামটার সাথে পরিচিত হল তার একটা গপ্পো আছে, কি বলবো রাগও হয় কাউকে বোঝাতে পারিনা।
No comments:
Post a Comment