Friday, November 6, 2015

রামে রাম (শুরু করলাম)।

প্রথমে ছোট্ট করে একটু সূত্রপাত করে নি। জ্যোতিষের শুরুতে নাম, ঠিকানা, দেব বন্দনা ইত্যাদি হবার পর যা থাকে তা হল গ্রহ, নক্ষত্র, রাশি, লগ্ন- প্রাথমিক স্তরে এই। আমি ব্যাখ্যামূলক জায়গাতে যাব না বিদগ্ধ পন্ডিতেরা সেসব করেছেন, আমি শুধু মূল বিষয়টা বলব। প্রাচীন ঋষি মুনিরা দীর্ঘকাল পর্যবেক্ষনেরপর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকাশে একটি কাল্পনিক রাশিচক্র আছে, বা কালপুরুষের কাল্পনিক অবয়বের মধ্যে সেই রাশি বিভাগ দেখা যায়। এই রাশি গুলো হল-
  1. মেষ
  2. বৃষ
  3. মিথুন 
  4. কর্কট
  5. সিংহ
  6. কন্যা
  7. তুলা
  8. বৃশ্চিক
  9. ধনু
  10. মকর
  11. কুম্ভ
  12. মীন
এই রাশি চক্র কতগুলি নক্ষত্রের সমষ্টিতে তৈরী হয়েছে, এই নক্ষত্র গুলো সূর্য্যের দু পাশে অবস্থিত ২৭টি নক্ষত্রের সন্নিবেশনের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। নক্ষত্র গুলি হল;
  1. অশ্বিনী
  2. ভরণী
  3. কৃত্তিকা
  4. রোহিনী
  5. মৃগশিরা
  6. আদ্রা
  7. পুনর্বসু
  8. পুষ্যামি
  9. অশ্লেষা
  10. মঘা
  11. পূর্ব ফাল্গুনী
  12. উত্তর ফাল্গুনী
  13. হস্তা
  14. চিত্রা
  15. স্বাতী
  16. বিশাখা
  17. অনুরাধা
  18. জ্যেষ্ঠা
  19. মূলা
  20. পূর্বাষাঢ়া
  21. উত্তরাষাঢ়া
  22. শ্রবণা
  23. ধনিষ্ঠা
  24. শতভিষা
  25. পূর্বভাদ্রপদ
  26. উত্তরভাদ্রপদ
  27. রেবতী 
এই রাশি চক্রকে একটা বৃত্তের মত কল্পনা করা হয়েছে অর্থাৎ ৩৬০ডিগ্রী, এই বৃত্তটা সমান ১২টা ভাগে ভাগ করা মানে প্রতেকটা রাশির মাপ ৩০ডিগ্রী আর প্রতিটা রাশিতে সোয়া দু খানা করে নক্ষত্র পড়ছে, অর্থাৎ প্রতিটা নক্ষত্রের মান ১৩ডিগ্রী ২০মিনিট করে (বাংলায় ১৩অংশ ২০ কলা*)।
আজ এই অবধি রাখছি। একটা গল্প বলতে চাইছি আটকে আটকে যাচ্ছে... বলব পরদিন। ...........................(চলবে)।


*এই সব অংশ, কলা, বিকলা এগুলো জ্যোতিষ বই গুলোতে খুব আছে সেগুলো বাংলা বই গুলোতে একটুও সংস্কার হয়নি। আমিও রাখলাম যদি কেউ আপত্তি তোলে বলা তো যায়না। দেখা যাক।

No comments:

Post a Comment

কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি

 মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...