বিগত কয়েক সপ্তাহ আমার একটু মন খারাপ যাচ্ছে, কারণ টা ঠিক জানিনা তবে আমি যা বুঝছি তাতে আমার সময়ানুবর্তিতাই এর জন্য দায়ী। যা হোক, তারাপদ বাবুকে নিয়ে আমার হ্যাংলামোর কথা আশাকরি আপনারা অবহিত আছেন। তা ওনার একটা প্রিয় বিষয় ছিল মদ এবং তদুপরি মাতাল। মাতাল নিয়ে না হলেও ইনি খান ৫০ রম্যরচনা লিখেছেন(গোনাগুনতিতে কিছু ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন)। গতকাল রাতে পড়তে পড়তে আমার কিছু নিজের কথা মনে পড়ে গেল, ওনাদের সময় শিব্রাম ছিলেন, কৃত্তিবাস ছিল, আরো অনেক খ্যাতনামা জ্ঞানীগুনী লোক ছিলেন যারা নতুনদের সাহায্য করতেন, আজকাল সব নিজেকেই করতে হয়, করছি। তারাপদ বাবু এক জায়গায় বলেছেন, উনি মদ খেতে ততটা ভালো না বাসলেও মদ নিয়ে লিখতে খুব ই ভালোবাসতেন। ওনার লেখা একটা গল্প দিয়েই গুরুদক্ষিণার কাজটা সেরে রাখছি আগে, দুই বন্ধু খুব মদ খায় এবং প্রায়ই একসাথে খায়, তো এরকম একদিন অনেকটা মদ খাওয়ার পর এক বন্ধু আরেকজন কে বলল, "এই তুই আর মদ খাসনা তোর নেশা হয়ে গেছে" । দ্বিতীয় বন্ধু যথেষ্ট ভরসা রেখে জিজ্ঞাসা করল, "কি করে বুঝলি?" প্রথবন্ধু,"আরে, তোকে ঝাপসা দেখাচ্ছে।"
এবার আমার গল্প বলি, আমি প্রথম মদ খাই বুঝলেন ক্লাস ইলেভেনের শেষের দিকে। ইচ্ছা খুব একটা ছিল তা নয়, এবং সে সময় আমি মদ খেলে চরিত্রদুষ্ট হবার আশঙ্কা করতাম, কিন্তু সেদিন ঢেঁকুর ওঠার পর বুঝলাম সে আশঙ্কা আমার হজম হয়ে গেছে। এরপর এলোপাথারি, দাঁড়িয়ে বসে, মিশিয়ে না মিশিয়ে, বমি করে না করে সবরকম ভাবেই আমি অনেক মদ খেয়েছি আজ দশ বছর হল, একটি মেয়ে ছাড়া কেউ আমাকে মাতাল হতে দেখেনি, আবার সবার মধ্যে সেই একমাত্র আমার মদমত্ততা অনুভব করেছে। যাইহোক সবই কপালের ফের, আর একটা কথা এতক্ষন বাজে লিখে এসে বুঝতে পারলাম আমার মদ নিয়ে কোন হাসির গল্প নেই। তবু তারাপদ বাবু শিখিয়েছেন 'যেখানে দেখিবে পাতা/ লিখিবে পারিবে যা-তা/ পাইলেও পাইতে পারে হাসির উদ্রেক।'
একবার আমরা চার বন্ধু মিলে মদ খেতে যাচ্ছি, উদ্দেশ্য হাজরার একটি সুলভ বার। যেতে যেতে বেশ সময় গেছে একটু দেরীও হয়েছে, আমরা বলছি, আর ক'ত দেরী হবে ইত্যাদি ইতিমধ্যে হাজরা চলে এসেছে এবং বন্ধুটি সোল্লাসে বলে ওঠে, "এই ত্তো আমরা ঠিক জায়গায় চলে এসেছি।" বক্তব্যের ধরনে মনে হয় যেন ঐ জায়গাটা ছাড়া বাকী সব জায়গা ই ভুল। এরপর আরেকটু বাকী, বয়সের ধর্মে আমরা সকলেই প্রায় এটা বোঝানোর চেষ্টা করি আমরা নেশাগ্রস্ত হইনা বা মাতাল হইনা। অবশ্য মাতাল আর নেশাগ্রস্ততা এক নয়। যাক, তো সেই বন্ধুটির ই এরকম অহঙ্কারের মাত্রাটা একটু বেশী, ওর হিসাবে ও ছাড়া আর বাকী সবাই এলেবেলে যে কোন পৌরষেয় কাজে(কার্জত সেটা ঠিক নয় সাধারন জনমত অনুযায়ী)। তো সেদিন আমাদের মদ্যপানের মাত্রাটা কিঞ্চিৎ বেশী হয়েছিল, সে সময় আমাদের উত্তেজনার মাত্রাটা বেশ চড়া, সবার ই ইচ্ছা সে সময় গঙ্গার জল মদ হয়ে যাক আর পাঁটা(আমার জন্য মুরগী উটপাখির সাইজের) হাতির সাইজের হয়ে যাক, কিন্তু তবু আমাদের বেরোতে হবে বিল হয়ে গেছে ওকে বললাম উঠতে, বলল দাড়া উঠছি। একটু পর আমরা নীচে নামলাম, সবাই সিগারেট ধরাচ্ছে, ও দেখি একজায়গায় বসে পড়ল, গিয়ে বলা হল, 'চল বাড়ি যাব', বলল, 'দাঁড়া একটু রেস্ট নিয়ে যাচ্ছি'।
আজকাল আর মদ খাবার বিশেষ উৎসাহ পাইনা, যতটা না মদের প্রতি অনাগ্রহ তার থেকে বেশী হল উপযুক্ত মদ্যপায়ীর অভাব। এখন আমার বিশেষ বিশেষ মদের অতিসুন্দর সুন্দর বোতল জমানোর প্রতি আগ্রহ বেশী, পয়সার অভাবে এখনও তেমন কালেকশন হয়ে ওঠেনি, সেটা অন্য ব্যাপার।
এবার আমার গল্প বলি, আমি প্রথম মদ খাই বুঝলেন ক্লাস ইলেভেনের শেষের দিকে। ইচ্ছা খুব একটা ছিল তা নয়, এবং সে সময় আমি মদ খেলে চরিত্রদুষ্ট হবার আশঙ্কা করতাম, কিন্তু সেদিন ঢেঁকুর ওঠার পর বুঝলাম সে আশঙ্কা আমার হজম হয়ে গেছে। এরপর এলোপাথারি, দাঁড়িয়ে বসে, মিশিয়ে না মিশিয়ে, বমি করে না করে সবরকম ভাবেই আমি অনেক মদ খেয়েছি আজ দশ বছর হল, একটি মেয়ে ছাড়া কেউ আমাকে মাতাল হতে দেখেনি, আবার সবার মধ্যে সেই একমাত্র আমার মদমত্ততা অনুভব করেছে। যাইহোক সবই কপালের ফের, আর একটা কথা এতক্ষন বাজে লিখে এসে বুঝতে পারলাম আমার মদ নিয়ে কোন হাসির গল্প নেই। তবু তারাপদ বাবু শিখিয়েছেন 'যেখানে দেখিবে পাতা/ লিখিবে পারিবে যা-তা/ পাইলেও পাইতে পারে হাসির উদ্রেক।'
একবার আমরা চার বন্ধু মিলে মদ খেতে যাচ্ছি, উদ্দেশ্য হাজরার একটি সুলভ বার। যেতে যেতে বেশ সময় গেছে একটু দেরীও হয়েছে, আমরা বলছি, আর ক'ত দেরী হবে ইত্যাদি ইতিমধ্যে হাজরা চলে এসেছে এবং বন্ধুটি সোল্লাসে বলে ওঠে, "এই ত্তো আমরা ঠিক জায়গায় চলে এসেছি।" বক্তব্যের ধরনে মনে হয় যেন ঐ জায়গাটা ছাড়া বাকী সব জায়গা ই ভুল। এরপর আরেকটু বাকী, বয়সের ধর্মে আমরা সকলেই প্রায় এটা বোঝানোর চেষ্টা করি আমরা নেশাগ্রস্ত হইনা বা মাতাল হইনা। অবশ্য মাতাল আর নেশাগ্রস্ততা এক নয়। যাক, তো সেই বন্ধুটির ই এরকম অহঙ্কারের মাত্রাটা একটু বেশী, ওর হিসাবে ও ছাড়া আর বাকী সবাই এলেবেলে যে কোন পৌরষেয় কাজে(কার্জত সেটা ঠিক নয় সাধারন জনমত অনুযায়ী)। তো সেদিন আমাদের মদ্যপানের মাত্রাটা কিঞ্চিৎ বেশী হয়েছিল, সে সময় আমাদের উত্তেজনার মাত্রাটা বেশ চড়া, সবার ই ইচ্ছা সে সময় গঙ্গার জল মদ হয়ে যাক আর পাঁটা(আমার জন্য মুরগী উটপাখির সাইজের) হাতির সাইজের হয়ে যাক, কিন্তু তবু আমাদের বেরোতে হবে বিল হয়ে গেছে ওকে বললাম উঠতে, বলল দাড়া উঠছি। একটু পর আমরা নীচে নামলাম, সবাই সিগারেট ধরাচ্ছে, ও দেখি একজায়গায় বসে পড়ল, গিয়ে বলা হল, 'চল বাড়ি যাব', বলল, 'দাঁড়া একটু রেস্ট নিয়ে যাচ্ছি'।
আজকাল আর মদ খাবার বিশেষ উৎসাহ পাইনা, যতটা না মদের প্রতি অনাগ্রহ তার থেকে বেশী হল উপযুক্ত মদ্যপায়ীর অভাব। এখন আমার বিশেষ বিশেষ মদের অতিসুন্দর সুন্দর বোতল জমানোর প্রতি আগ্রহ বেশী, পয়সার অভাবে এখনও তেমন কালেকশন হয়ে ওঠেনি, সেটা অন্য ব্যাপার।
No comments:
Post a Comment