কিছু করার নেই আমি বাধ্য এটা বাংলায় লিখতে, এমনিতেও ইংরাজী তে লিখে যে একেবারে খুব দারুন হচ্ছে, লোকে একেবারে হামলে পড়ছে এমন তো নয়। যাক, যে প্রধান কারণে এই ব্লগের উৎপত্তি তা হল শ্রদ্ধেয় স্বর্গত শ্রী তারাপদ রায়, মানে উনি প্রায়ই বলতেন উনি নিতান্তই টুকে লেখেন বিদেশি জোক্স থেকে আর আমার এই অনুপ্রাণিত হওয়া তে উনি নিশ্চিত হতেন যে অনার রচনা গুণ এবং পাঠককুল সম্বন্ধে। না না দোষ আমার ই, কান্ডজ্ঞান লোপ পেলে আর বোধবুদ্ধি না থাকলে যা হয় আরকি।
লিখতে লিখতে যখন ব্লগের ব্যাপারটা আসে তখন পরিবর্তন এর বাজার এমনি কিছু লিখে ফেললাম তারপর একটু ব্যক্তিগত কারণে কিছুদিন আতাকেলানে(এর থেকে ভাল তিরষ্কার মূলক কথা আমার তৎকালীন সময় নিয়ে দেওয়া যায়না) হয়েছিলাম ফলে বছর খানেক লেখা হয়নি। আজ আসলে অন্য একটা লেখা দেখে তারাপদ বাবুর একটা লেখা মনে পড়ে গেল তাই এই বাজে বকা এবং স্মৃতিচারণ।
একদা দুই বন্ধু একযোগে মদ্যপান করতেন, কিন্তু সময়ের চক্করে তাদের মধ্যে একটা ছাড়াছাড়ি হয়। তো থেকে যাওয়া বন্ধুটি রোজ পানশালায় যেতেন এবং যতবার মদ বলতেন দু পেগ করে অর্ডার করতেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন দ্বিতীয় পেগটি বন্ধুর উদ্দেশ্যে। একদিন তিনি এসে বললেন,"এক পেগ হুইস্কি দাও, আজ থেকে আমি মদ ছেড়ে দিয়েছি, ডাক্তারের বারণ।" এতদিনের পরিচিতি হেতু বেয়ারা জিজ্ঞাসা করেই ফেলল, "তবে আপনি খাচ্ছেন যে?" ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, "এটা আমার বন্ধু খাচ্ছে, ওর তো ডাক্তারের বারণ নেই।"
আজ প্রায় একই গল্প দেখলাম সামান্য পরিবর্তিত, 'সর্দারজির দোস্ত থাকে ইংল্যান্ডে। কেপটাউনে বসে
তাঁর কথা মনে হওয়ায় একদিন রেস্তোরাঁয় খেতে এলেন। দুই প্লেট মিষ্টি নিয়ে
বসলেন টেবিলে। এক পাশে বসে টপাটপ কয়েকটা মিষ্টি খেয়ে একটু পর চলে যান আরেক
পাশে। সেখানে বসে কয়েকটি গিলে ফের চলে আসেন আগের জায়গায়।
সর্দারজির এমন কাজ-কারবার দেখে রেস্তোরাঁর বেয়ারারা ভীষণ অবাক। দুই প্লেট মিষ্টি গিলবে
তো একপাশে বসেই খাও না কেন? এপাশ-ওপাশ করার দরকার কী! বলল কেউ কেউ।
সর্দারজি একটা মিষ্টি গিলে বললেন, আমার বন্ধু তো কাছে নেই। তাই ওর হয়ে
ওপাশের মিষ্টিগুলো খেয়ে নিচ্ছি!
এমন করেই চলল কিছুদিন। হঠাৎ একদিন
নিয়মের ব্যতিক্রম। টেবিলের এক পাশে এক প্লেট মিষ্টি নিয়ে বসলেন সর্দারজি।
ঘটনা কী? জানতে চাইল কেউ কেউ। ঘটনা আর কিছু না। গতকালই ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে
আমার। ডাক্তারের কড়া নিষেধ_ মিষ্টি থেকে একশ হাত দূরে থাকতে। কিন্তু আমার
দোস্তের তো ডায়াবেটিস নেই। তাই নিয়মানুযায়ী ওর হয়েই এক প্লেট মিষ্টি খেয়ে
নিচ্ছি! সর্দারজির নির্লিপ্ত জবাব।'
বুঝতেই পারছি প্রত্যেকে(যদি কেউ পড়েন) একটা উপসংহার প্রত্যাশা করছেন, কথার মানে হল আমি বুঝলাম টুকলিফাইন জিনিস টা আদি থেকে চলে আসছে, "টোকাই ধর্ম, টোকাই কর্ম, টোকাতে নেই কোন পাপ/ টুকেছে আমার ঠাকুরদাদা, টুকেছে আমার বাপ।"
*পুনশ্চঃ নামকরণের তাৎপর্য এই যে, গল্পটা এবং আমার জীবনে তারাপদ বাবু ঘুরে ফিরে আছেন ই। তাঁর শ্রী চরণে(ফটো) স্বশ্রদ্ধ প্রণাম।
jachchetai er drescription holo ja eche tai, ontoto bangla mane korle tai daray. ami serokom e likhbo. nonsense to r somvob na, chaile balkhilyo-toro du ekta golpo sonabo thuri likhbo dekhben...
Thursday, January 31, 2013
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কুলের আচার ও পুরাতনী চিঠি
মনে করুন, এভাবেই সময় চলছে... তাতে তো আর জীবন কাকু থেমে থাকবে না। এগিয়েই যাবে। মনে করুন এরকম ভাবেই ২০২৫ এর বসন্ত এসে গেছে, এভাবেই ঘরে বসে কা...
-
লীলা মজুমদার 'লঙ্কাদহন পালা' তে এই নামেই সম্বোধন করিয়েছিলেন পবনপুত্রকে। উনি বীর, উনি ভদ্র (বানর সুলভ নন), উনি সাত্তিক, নিরহঙ্কারী ...
-
উপরের ভালো শব্দটার একটা চলতি বাংলা নাম আছে ‘শুয়োরের বাচ্চা’! গালাগাল হিসাবে নেবেন না, এটা প্রায় লব্জ, এক্সট্রা অর্ডিনারি বোঝাতেও অনেক সময় ...
-
২০১২ সালে ঠিক করছিলাম শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এর 'অশরীরী' গল্প নিয়ে একটা শর্ট ফিল্ম বানাবো। আমাদের তখন শরীরে জোয়ার, মাথায় জমাট...
No comments:
Post a Comment